ময়মনসিংহ ফুলপুর উপজেলা প্রতিনিধি: হিমহিম শীতল বাতাস সাথে পাড়ের আঁকাবাঁকা ভাঙ্গা রাস্তা। অগণিত সবুজ গাছপালা দাঁড়িয়ে আছে নদীর ধারে । নদীর পানি এখন তলানিতে নেমে গেছে। নদীর গায়ের জোর এখন কম, আবার যখন জৈষ্ঠ আষাঢ় মাসে পাহাড়ি ঢল আসে তখন কানায় কানায় পানিতে ভর্তি হয়ে এই নদী । যা নিমিষেই তখন তার রূপ বদলে ফেলে কেড়ে নিয়ে যায় তীরবর্তী মানুষের, ঘরবাড়ি, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ আরো কত কিছু। ইতিমধ্যে অনেকে হারিয়েছে ঘরবাড়ি বসতভিটা, কেউ কেউ আশ্রয় নিয়েছেন ঢাকা শহরে। আবার কেউ কেউ আবাদী জমিতে বাড়ি করে একটু মাথা গুজার ঠাই করেছে। আর যাদের আবাদি জমি নেই তারা চলে গেছে গ্রাম থেকে অনেক দূরেl নিজেদের বাপ-দাদার সম্পত্তি হারিয়ে দূরে থাকলেও মন টা পড়ে থাকে সেই গ্রামে কখনো স্মৃতির টানে চলে আসে এই নদীর কিনারায় রূপসী বাজার হতে রূপসী প্রাইমারি স্কুলের সামনে দিয়ে যে রাস্তা শিলপুরের দিকে চলে গেছে, আবার পয়ারী কালীবাড়ি হতে মোড়লপাড়া যে রাস্তা গেছে সেটিও এখনো পাকা হয়নি, সিংহেশ্বর ইউনিয়নে মাঝিয়ালী নদীর পাশ দিয়ে যে কাঁচা রাস্তা গেছে সেটিও এখনো পাকা হয়নি, এমন অনেক ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তা আছে যা এখনো বেহাল অবস্থা বর্ষাকাল আসলেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায়, সবচাইতে বেশি দরকার ছিল কাঁচামাল আমদানি কারার যে রাস্তা পয়ারী আমলীতলা হয়ে গুপ্তরেগাঁও যাওয়ার রাস্তা সেটাতে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হতে হয়, এমন অনেক এলাকা আছে বেহাল অবস্থা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আছেন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আছেন, উনারা একটু চেষ্টা করলে হয়তো হয়ে যেতে পারে, বাঁশের সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যাতায়াত করে অনেক শিশু, এরা দেশের ভবিষ্যৎ এদের কথাও চিন্তা করা উচিত বলে আমি মন করি।