ঘোড়াঘাটে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের দুজন নিহত চালক সহ আহত-৪

155

মোঃ শহিদুল ইসলাম আকাশ, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে দুর্ঘটনায় একই পরিবারের দুজন নারী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে চালক ও শিশু সহ আরো দুজন নারী।
১৬ জানুয়ারী সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় দিনাজপুরÑঘোড়াঘাট আঞ্চলিক মহাসড়কের হরিপাড়া নামক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন, গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের বেশাইন গ্রামের বিজয় চন্দ্র বর্মনের স্ত্রী রতন বালা (৫০) ও বিধান চন্দ্র বর্মনের মেয়ে তিথি রানী (১৭)। তারা সম্পর্কে দাদী-নাতিনী। নিহত শিশু তিথি রানী কাঁচেরচড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন।
আহতরা হলেন, একই পরিবারের অরুন বালা (৪০), করুনা রানী (৫৫) এবং অর্পনা রানী (৭)।
তারা সকলে ঘোড়াঘাট থেকে ভ্যানযোগে নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়দেবপুর গ্রামে এক আত্মীয় বাড়িতে বিয়ের দাওয়াত খেতে যাচ্ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকালে ঢাকার টঙ্গি থেকে বিশ্ব ইজতেমার মুসল্লি সহ একটি বাস দিনাজপুরের দিকে যাচ্ছিল। বাসটির সামনে থাকা বালু বোঝাই একটি ট্রাক্টর পার হওয়ার সময় বাসটি রাস্তার পাশে খাদে পরে যায়। এ সময় একটি যাত্রীবাহী ভ্যানে ধাক্কা দেয় এবং ভ্যানটি রাস্তার পাশে গর্তে পড়ে যায়। ভ্যানে থাকা যাত্রীরা গুরুতর আহত হয়। পরে স্থাানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যা কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।আহতদের মধ্যে দুই জন নারী ঘটনাস্থলেই মারা যান।
নিহতের পরিবারের সদস্য নির্মল চন্দ্র বর্মন বলেন, নাতির বিয়েতে সকাল ১০টার সময় আমার পরিবারের সদস্যরা নবাবগঞ্জে যাচ্ছিল। এ সময় বাসের ধাক্কায় তারা সকলে আহত হন। খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে এসে দেখি আমাদের পরিবারের দুজন মারা গিয়েছেন। আমাদের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যা কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যা ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় কবলিত ৫ জন রোগীকে স্থাানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল। এর মধ্যে দুজনকে আমরা মৃত অবস্থাায় পেয়েছি। বাকি তিনজনের মধ্যে দুজনের অবস্থাা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। অপর একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ঘোড়াঘাট থানার ্অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু হাসান কবির বলেন, দুর্ঘনায় কবলিত বাস, ট্রাক্টর ও ভ্যান আমাদের হেফাজতে আছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় দুটি লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে যেহেতু দুজন ব্যাক্তি মারা গেছে। সেহেতু উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাা গ্রহণ করবো।