ক্যান্সারে আক্রান্ত জুনায়েদ এর পাশে সেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘জনতার ঈশ্বরগঞ্জ’

160

ঈশ্বরগঞ্জ(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি-হাড় ক্যান্সারে আক্রান্ত জুনায়েদুর রহমানের পাশে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জনতার ঈশ্বরগঞ্জ। পাশাপাশি জনতার ঈশ্বরগঞ্জকে আর্থিক সহযোগিতা করেছে আমার জন্মভূমি নামক অপর আরেকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। বুধবার বিকেলে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের চরপুম্বাইল গ্রামের হাড় ক্যান্সারে আক্রান্ত জুনায়েদুর রহমানের বাবা সাইদুর রহমানের হাতে নগদ ২৫ হাজার টাকা প্রদান করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক মোঃ এহসানুল হকসহ সদস্যরা।
জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ বিশ্বেশ্বরী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র জুনায়েদুর রহমানের বাম পায়ে হাড় ক্যান্সার ধরা পড়েছিল ছয় মাস পূর্বে। পরে সারা শরীরে যাতে ক্যান্সার ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য তার একটি পা কেটে ফেলে দিতে হয়েছিলো। এঅবস্থায় দীর্ঘদিন যাবৎ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া হয়েছে জুনায়েদের। তারপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাই হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ১ মাস চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন জুনায়েদ। বর্তমানে সে বাড়িতে রয়েছে। সব হারিয়ে পরিবারের পক্ষে যখন এ ব্যায়বহুল চিকিৎসা আর করানো সম্ভব হচ্ছিল না, ঠিক  এমন সময় তার পাশে দাঁড়ায় জনতার ঈশ্বরগঞ্জ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। জনতার ঈশ্বরগঞ্জ ও আমার জন্মভূমি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জুনায়িদের বাবা সাইদুর রহমান বলেন, আপনাদের সবাইকে আল্লাহ পাক বাঁচিয়ে রাখুন। আমার ছেলেকে বাঁচাতে সকলের সহযোগিতা চাই।
এবিষয়ে জানতার ঈশ্বরগঞ্জ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক এহসানুল হক জানান, আমাদের জনতার ঈশ্বরগঞ্জ নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সব সময় চেষ্টা করে সমাজের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে। ক্যান্সার আক্রান্ত জুনায়িদুর ও তার পরিবারের বিষয়টি জানতে পেরে আমারা অল্প সময়ের মধ্যে চেষ্টা করেছি পরিবারটির পাশে দাড়ানোর জন্য। তিনি আরও জানান, এলাকার অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সামর্থবান মানবিক মানুষেরা যদি আরও সহোযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে জুনায়িদুর পেতে পারে সুস্থ ও সুন্দর একটি জীবন। আবার ফিরে যেতে পারবে বই, খাতা ও ব্যাগ কাঁধে নিয়ে তার পাঠশালায়।