তুরস্কের নির্বাচন এরদোয়ানের জন্য সতর্ক বার্তা

85
রায়হান আহমেদ তপাদার:

তুরস্কের জনগণ দেশটির আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। ১৪ মে তুরস্কে যে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন হচ্ছে, সেটি বিশ্বে ২০২৩ সালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন মনে করা হচ্ছে। জনমত জরিপে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ বিরোধী জোটের প্রতিনিধি ও রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা কেমাল কিলিচদারোগলুর মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা পরিলক্ষিত হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা গণতন্ত্রকে সৌন্দর্য দেয়। তুরস্কে যে জীবন্ত নির্বাচনী গণতন্ত্র আছে-এরদোয়ান যে তা বন্ধ করেননি, সেটা তুরস্কের শক্তি ও সৌন্দর্যের দিক। কিন্তু এবারের নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা প্রচার মাধ্যমে যেসব প্রতিবেদনে থাকত, তাতে শত শত বিরূপ মন্তব্য পাওয়া যেত। কিন্ত এবার তেমন কিছুই দেখা যায়নি। যাইহোক শেষ পর্যন্ত তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দ্বিতীয় রাউন্ডে গড়াল। ২৮ মে সেটা হবে। এরদোয়ান প্রথম রাউন্ডে জিততে না পারায় বিরাটসংখ্যক মানুষ হতাশ। বিস্মিতও অনেকে। হতাশাটা রাজনৈতিক। এরদোয়ানের কারণে তুরস্কের নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশি দের বিপুল আগ্রহ ছিল। কিন্ত এবারের নির্বাচনকে তেমন কিছুই পরিলক্ষিত হয়নি।পাঠকের পছন্দমতো লোকরঞ্জন বাদী না হলে একালে লেখার কদর পাওয়া দায়-বিশেষ করে সংবাদমাধ্যমে। ফলে টিকে থাকার সংগ্রামে এ দেশের অনেক মিডিয়া বহু আগে এরদোয়ানকে একচেটিয়াভাবে জিতিয়েছে। অথচ লোকরঞ্জনবাদ খোদ তুরস্কে এরদোয়ানকে শেষ পর্যন্ত প্রথম রাউন্ডে জিততে দেয়নি। কিন্তু কেন জনপ্রিয় হয়েও বিশ্বখ্যাত এই শাসককে নির্বাচনের দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে হচ্ছে, সেটা বোঝা জরুরি! প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী মিলে প্রায় ২১ বছর তুরস্কের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় আছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। হয়তো দ্বিতীয় রাউন্ডে জিতে আবারও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হতে পারেন। 

তবে প্রথম রাউন্ডে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে তিনি মাত্র ৪ শতাংশ ভোটে এগিয়ে ছিলেন। ব্যবধানটি বেশি নয়।নির্বাচনী গণতন্ত্রে অনেক সময় ভোটাররা পুরোনো মুখে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। অন্ধভক্ত এবং সুবিধাপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠী ছাড়া অন্যরা সচরাচর নতুন মুখ খোঁজেন।এটা মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার। এরদোয়ান যে ব্যাপক ব্যবধানে প্রথম রাউন্ডে প্রেসিডেন্ট হয়ে যাননি, সেটা প্রাথমিকভাবে পুরোনো মুখ হওয়ার কারণে।ক্ষমতার ভেতর বরাবরই জাদু থাকে। এককেন্দ্রিক ক্ষমতা হলে তো কথাই নেই। তখন আর শাসকেরা যেতে চান না। ভিন্নমত শুনতে কম আগ্রহী হন। দলে যোগ্য উত্তরসূরি তৈরিতে মনোযোগ থাকে না। এমনও হয়তো ভাবতে থাকেন-সব সময় তিনি ক্ষমতায় থাকবেন। এ রকম সময়ে এসে এককেন্দ্রিক ক্ষমতা কাঠামো আরও শক্তিশালী হয়ে একনায়কতন্ত্রের আদল নেয়। এরদোয়ানও এমন এক ভাবমূর্তি তৈরি করেছিলেন-যে নেতা সব মৌসুমে নির্বিঘ্নে জিতবেন। কিন্তু সে রকম ঘটেনি। এর কারণ সম্ভবত এই, মহাশক্তিশালী শাসকের ধারণা ইতিহাস বইয়ে যতটা মানানসই, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে ততটা নয়-অন্তত অদলীয় তরুণ ভোটারদের কাছে। তাঁদের পছন্দ ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ।এরদোয়া- নের বেলায় তুরস্কে সেটাই ঘটেছে। প্রথমবার ভোট দিতে আসা ৫০ থেকে ৬০ লাখ তরুণ ভোটারের বড় এক অংশকে এরদোয়ান কাছে টানতে পারেননি। তরুণ সমাজ বিশেষভাবে মূল্যস্ফীতিতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ ছিল। সংসদ নির্বাচনে এরদোয়ানের একেপির ভোটেও তার প্রতিফলন দেখা যায়। আগের সংসদীয় নির্বাচনে এই দলের ভোট হিস্যা ছিল প্রায় ৪৩ শতাংশ; এবার সেটা ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গত ২০ বছর আন্তর্জাতিক সমাজে এরদোয়ান তেজি ঘোড়ার মতো দাবড়িয়ে বেড়ালেও দেশের ভেতর ঘরে ঘরে স্বস্তির ঘাটতি পড়েছিল আস্তে আস্তে। সিরিয়া, লিবিয়া, আজারবাইজানে প্রত্যক্ষ সামরিক ভূমিকার পাশাপাশি সুদূর আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার মতো অঞ্চলে এরদোয়ানের তুরস্ক গত ২০ বছর নানানভাবে ছদ্ম রাজনৈতিক ভূমিকা রেখেছে। 
তাতে দেশটির বৈশ্বিক প্রভাব বেড়েছে। তুরস্কের নতুন পরিচয় তৈরি হয়েছে। দূরদূরান্তের সেসব জনপদের অনেকে এই নির্বাচনে এরদোয়ানের বিজয় চেয়েছে। কিন্তু এসব অঞ্চলে এরদোয়ানের প্রকাশ্য-গোপন তৎপরতায় তাঁর প্রতিপক্ষও কম তৈরি হয়নি। এর মধ্যে সিরিয়া, ইউক্রেনসহ অনেক জায়গায় ইউরোপ-আমেরিকার বিপরীতে দেখা গেছে তুরস্কের অবস্থান। এবারের নির্বাচনে ওই প্রতিপক্ষরা যেকোনোভাবে এরদোয়ানের বিজয় থামাতে চেয়েছে। সেটা যেমন দূর থেকে—তেমনি তুরস্কের ভেতরে থাকা তাদের সমর্থক ভোটারদের মাধ্যমেও। কেমেল এ ক্ষেত্রে খোলামেলাই বলেছেন, তিনি তুরস্কের সঙ্গে পশ্চিমের সম্পর্ক থেকে চাপ সরাতে চান। তিনি এ-ও বলতে থামেননি, সাংস্কৃতিকভাবেও তাঁর আমলে তুরস্ক আরও কাছাকাছি যাবে ইউরোপ-আমেরিকার। তিনি চেষ্টা করবেন ইইউতে তুরস্ককে যুক্ত করতে-যে প্রচেষ্টা এরদোয়ানের আমলে ধীর হয়ে গেছে তাঁর জাতীয়তাবাদী অহংয়ের কারণে। ন্যাটো জোটে থেকেও এরদোয়ান ন্যাটোর পরিসর বাড়ানোতে আপত্তি তুলে ওয়াশিংটনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। গত ২০ বছর এবং সর্বশেষ নির্বাচনী প্রচারণাতেও এরদোয়ান কুর্দিবিরোধী জাতীয়তাবাদী উত্তাপ ছড়িয়েছেন ব্যাপক। এ রকম লাগাতার জাতীয়তাবাদী চাপ সংখ্যালঘুদের বড় অংশকে বাধ্য করেছে কেমালকে ভোট দিতে। কমবেশি ৬০ লাখ কুর্দিভোটের উল্লেখযোগ্য এক ভাগ নির্বাচনে কেমালের পক্ষে গেছে। সম্ভবত সংখ্যাগুরু ভোটারদের নতুন একটা অংশও উগ্র জাতীয়তাবাদের জায়গায় মধ্যপন্থার রাষ্ট্রীয় নীতি চাইছে। ফলে, কেমাল দুর্বল অবস্থান থেকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছেন। তাছাড়া তুরস্কের আশপাশে দুই ধরনের দেশ রয়েছে। এর মধ্যে একধরনের কিছু দেশে নির্বাচনের আগেই ভোটের ফলাফল বলে দেওয়া যায়। অন্যদিকে দ্বিতীয় ধরনের কিছু দেশ রয়েছে, যেখানে নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে আগেভাগে নিশ্চিত করে কিঝু বলাটা প্রায় অসম্ভব। এদিক থেকে তুরস্কের অবস্থান বরাবরই দ্বিতীয় সারিতে। তুর্কিরা সর্বদাই ব্যালট বাক্সে বিশ্বাসী। দশকের পর দশক ধরে ব্যালটের ওপরই আস্থা রেখে চলেছে তুরস্কের জনগণ। এই সংস্কৃতির জন্য তারা গর্বিত বটে। সম্ভবত ভোটিং বুথ তুরস্কের নাগরিকদের কাছে একমাত্র জায়গা, যেখানে তারা নিজেদের সম্পূর্ণ ‘স্বাধীন’ বলে মনে করে। নির্বাচন এ দেশের রাজনীতিবিদ ও নাগরিকদের মধ্যে প্রাথমিক ও সরাসরি যোগসূত্রের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে পরিগণিত। নির্বাচন সামনে রেখে বাতাসে গুঞ্জন ছিল, ক্ষমতার পালাবদল ঘটলেও ঘটতে পারে! এক্ষেত্রে সত্যিই যদি প্রেসিডেন্ট পদে পরিবর্তন ঘটে, তবে ধরে নিতে হবে, এর পেছনে অনেকগুলো ফ্যাক্টর কাজ করেছে। যেসব ‘ইস্যু’ ক্ষমতার পালাবদলে প্রভাব রাখতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখানে উল্লেখ্য যে, তুরস্ক বর্তমানে নানামুখী অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ২০০১ সালের আর্থিক বিপর্যয়ের কথা স্মরণ করে বলা যায়, ভালো নেই দেশের ব্যাংক ও আর্থিক কোম্পানিগুলো। বর্তমানে সরকারি ঋণ জিডিপির প্রায় ২৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে! তাছাড়া সম্প্রতি সংঘটিত ভূমিকম্পের বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে প্রচুর ব্যয় হওয়ার কারণে টান পড়ছে রাজস্বেও। এমনকী মূল্যস্ফীতিও ব্যাপক হারে বেড়েছে তুরস্কে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির উল্লম্ফন ঘটেছে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই মূল্যস্ফীতি শতকের ঘর অতিক্রম করবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা। এই বিষয়টি এরদোয়ানের ঘাড়ে বাড়তি চিন্তা হিসেবে চেপে বসে নির্বাচনের আগে। জীবনযাত্রার ব্যয় এতটাই বেড়ে গেছে যে, জনগণকে প্রতিনিয়ত পড়তে হচ্ছে হিমশিম অবস্থায়। বিশেষ করে বড় মেট্রোপলিটন এলাকাগুলো মূল্যস্ফীতির ঝড়ে রীতিমত কাঁপছে! পাবলিক সেক্টরের কর্মচারী, যেমন-ডাক্তার, নার্স, পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা পর্যন্ত দৈনন্দিন ব্যয় কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছেন।  রিয়েল এস্টেট সেক্টরের অবস্থা আরো করুণ! প্রতি বর্গমিটারে খরচ এতটাই বেড়ে গেছে যে, ছোট আয়তনের বাসার বন্দোবস্ত করতেই গলদঘর্ম হচ্ছে জনগণ। এই চিত্র শুধু ইস্তাম্বুলে নয়, বোড্রাম কিংবা আন্তালিয়ার মতো এলাকাগুলোতেও জীবন হয়ে উঠেছে বেশ কঠিন! তুরস্কের ইকোনমিক পলিসি রিসার্চ ফাউন্ডেশনের হিসাব অনুযায়ী, ইস্তাম্বুলে বসবাসের খরচ জাতীয় গড় ব্যয়ের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি। প্রকৃত ব্যয়ের হার সম্ভবত আরো অনেক বেশি হবে! এর কারণ, তুর্কি পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউটের (তুর্কস্ট্যাট) ডেটার ভিত্তিতে করা এই হিসাবা সব মহলের কাছে গ্রহণীয় নয়। তাছাড়া তুরস্কে দারিদ্র্যের হার ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। দৈনিক ৫ দশমিক ৫ ডলার আয় করতেই নাভিশ্বাস উঠছে মানুষের। অর্থাৎ, উপার্জনক্ষম মানুষের আয় কমে গেছে বেশ খানিকটা। ২০০৩ সালে যখন এরদোয়ান প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, তখন তুরস্কে দারিদ্র্যের হার ছিল ৩৭ শতাংশের মতো। অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নীতি গ্রহণের ফলে ২০১৮ সালে এই হার ৮ শতাংশে নেমে আসে। কিন্তু পরের দুই বছরে আবারও তা বেড়ে ১২ শতাংশে গিয়ে দাঁড়ায়। এর জন্য অবশ্য দায়ী কোভিড-১৯ মহামারি। তুরস্কের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বর্তমানে সম্পূর্ণ অস্থিতিশীল। ২০১৮ সালে যখন তুরস্ক সুপার প্রেসিডেন্সিয়াল সিস্টেমের সূচনা করে, তথা এরদোগ্যানমিকস থিওরির কৌশল অবলম্বন করা হয়, তারপর থেকেই ভালো নেই অর্থনৈতিক অঙ্গন। এই সিস্টেমের সঙ্গে যে বাস্তবতার কোনো মিল নেই, তা ইতিমধ্যে প্রমাণিত। যদি বলা হয়, এরদোয়ান দেশ পরিচালনার নীতি প্রণয়নের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন, তবে বাড়িয়ে বলা হবে না। শুধু অর্থনৈতিক খাতে নয়; শিক্ষা, পররাষ্ট্রসহ কোনো খাতের অবস্থাই ভালো নয়। এই অবস্থার মুখে দাঁড়িয়ে সবাই ভাবছে, নির্বাচনের পর কী হবে? এই অবস্থার কি পরিবর্তন ঘটবে? অনেক তুর্কির বিশ্বাস, এরদোয়ান বিজয়ী হলে তুরস্কের চেহারায় তেমন কোনো পরিবর্তন আসবে না। 
তাছাড়া তিনি তুরস্ককে দ্রুততার ভিত্তিতে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের দিকে নিয়ে যেতে পারবেন কি না-এ ব্যাপারে বহু তুর্কি সন্দিহান। অন্যদিকে, ছয় দলের সম্মিলিত বিরোধী জোটের নেতা কামাল কিলিকদারোগলুর ওপর আস্থা রাখতে চান উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তুর্কি। তাদের ধারণা, এই জোটে এমন কিছু অত্যন্ত চৌকশ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তি রয়েছেন, যারা তুরস্ককে আবারও ঊর্ধ্বে তুলে ধরার সামর্থ্য রাখেন। এই জোট ক্ষমতায় এলে দেশ দ্রুততম সময়ে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় ফিরবে। নির্বাচন ও ভোটের মাঠে এ ধরনের পালটাপালটি কথাবার্তা শোনা যায় বটে। তবে ক্ষমতার চেয়ারে বসে দেশের সার্বিক পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে পারাটাই আসল কথা। ২০২০ সালের পর তুর্কস্ট্যাট পারিবারিক জরিপ চালানো বন্ধ করে দেয়। এতে করে দারিদ্র্যহারের প্রকৃত চিত্রের গণনা অসম্ভব হয়ে পড়ে। বিশ্বব্যাংকের অনুমান, তুরস্কে বর্তমানে দারিদ্র্যের হার প্রায় ২৫ শতাংশ। তুরস্কের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বহু নির্বাচনের প্রবীণ খেলোয়াড় প্রয়াত সুলেমান ডেমিরেল বলতেন, এমন কোনো সরকার নেই, যার পক্ষে ভগ্ন অর্থনৈতিক পরিবেশে ভালো কিছু উপহার দেওয়া সম্ভব। ডেমিরেলের কথার সূত্র ধরে বলা যায়, আগামী দিনে তুরস্কে যে সরকারই ক্ষমতায় বসুক না কেন, রুগ্ন অর্থনীতির দরুন দেশ চালানো কঠিন হয়ে পড়বে।  
 লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক  raihan567@yahoo.com