মুসলিম বিশ্বের ঐক্য-সংহতি গড়তে হজ্জ গুরুত্বপূর্ণ

126




রায়হান আহমেদ তপাদার:

হজ্জ মুসলমানদের জন্য ফরজ বা আবশ্যিক ইবাদত। প্রত্যেক জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন ও সামর্থ্যবান মুসলিম নর-নারীর ওপর হজ্জ ফরজ করে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেন, মানুষের মধ্যে যারা পথের ব্যয় নির্বাহ করতে সক্ষম তাদের ওপর আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষে কাবাঘরে হজ্জ পালন করা ফরজ। এমনকী হজ্জ ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ ও মৌলিক ইবাদত। জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন প্রত্যেক সচ্ছল মুসলিম নর-নারীর ওপর হজ পালন করা ফরজ।আত্মিক উন্নতি, সামাজিক সম্প্রীতি ও বিশ্বভাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় হজ্জের গুরুত্ব সর্বাধিক। মুসলিম বিশ্বের ঐক্য-সংহতি গড়তেও হজ্জের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব মুসলিমের করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে সঠিক দিকনির্দেনাও লাভ করা যায় হজ্জের বিশ্ব মহাসম্মেলন থেকে। হজ্জ শুধু ইবাদতই নয়, বরং আত্মিক পরিশুদ্ধতার এক অনস্বীকার্য পদ্ধতি। জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১০ তারিখে পবিত্র বায়তুল্লাহ বা কাবাঘর প্রদক্ষিণ, আরাফাত ময়দানের মহাসম্মেলনে যোগদানসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা পালনের মাধ্যমে হজ্জ আদায় করতে হয়। হজ্জ পালনের সময় একনিষ্ঠ ভাবে আল্লাহর ইবাদতে নিমগ্ন থাকতে হয়। এ সময় হজ পালনকারীরা তাদের অনেক সম্পদ-প্রভাব- প্রতিপত্তি থাকা সত্ত্বেও কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সান্নিধ্য লাভের উদ্দেশ্যে অনাড়ম্বর জীবন যাপন করেন। তারা মুণ্ডিত মস্তকে, স্বল্পবসন আর নগ্ন পায়ে সব সময় মহান আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকেন। দুনিয়ার ভোগ-বিলাস, রূপ-লাবণ্য, ধন-সম্পদের মোহ কোনো কিছুই তাদের আকৃষ্ট করতে পারে না। এভাবে এক দিকে একনিষ্ঠ ইবাদত-বন্দেগি, অন্য দিকে নিরহঙ্কার, অনাড়ম্বর ও নির্মোহ জীবন যাপনের মাধ্যমে হজ পালনকারীদের আত্মার কুপ্রভাব থেকে কলুষমুক্ত ও বিশুদ্ধ হয়। হজ্জের মাধ্যমে যেমন আত্মার উন্নতি সাধিত হয়, তেমনি গুনাহও দূরীভূত হয়। 
হজ্জ শুধুই ইবাদত নয়। বিশ্বভাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাপক। হজ্জের সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ পবিত্র মক্কা নগরীতে একত্র হয়।ভাষা-বর্ণের ভিন্নতা, সাংস্কৃতিক-জাতীয় পরিচয়ের পার্থক্য ও ভৌগোলিক দূরত্ব থাকা সত্ত্বেও বিশ্ব মুসলিমের ভাতৃত্ববোধ জাগ্রত ও সুসংহত হয় পবিত্র হজ্জ উদযাপনে। বিশ্ব মুসলিমের পারস্পরিক দুঃখ-অভাব, অভিযোগ-সমস্যা সম্পর্কে অবগত হওয়া ও তার সমাধানের সুযোগ হয় পবিত্র হজ্জের বিশ্ব সম্মেলনে। হজ্জ গণতান্ত্রিক এক বিশ্ব সম্মিলন। এ সম্মেলনে বিশ্বের সর্বস্তরের মুসলিম অংশগ্রহণ করতে পারেন।জাতিসঙ্ঘ সহ বিশ্বের বিভিন্ন সংগঠন-সংস্থার সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট দেশ-জাতির নেতা ও প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের সুযোগ সীমিত। কিন্তু হজ্জের সম্মেলনে বিশ্বের সর্বস্তরের মুসলিমের অংশগ্রহণের সুযোগ অবারিত। উঁচু-নিচু, ভাষা-বর্ণ, জাতি-গোত্র নির্বিশেষে বিশ্বের সামর্থ্যবান যেকোনো মুসলিমের নিঃশর্তভাবে হজ্জ করার অধিকার ইসলাম সম্মত। হজ্জ এক ধরনের দীর্ঘ সফর বা ভ্রমণ হলেও তা কোনো ভ্রমণবিলাস নয়। বরং এর মধ্যে লুকায়িত আছে মহান আল্লাহর প্রতি অগাধ আস্থা-আনুগত্য আর শ্রদ্ধা-ভালোবাসা।নিজের উপার্জিত অর্থ ব্যয় এবং দৈহিক কষ্ট করে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের প্রচেষ্টা করা হয় পবিত্র হজ্জে। মূলত হজ্জ একটি অনন্য ইবাদত, যাতে সমন্বয় ঘটেছে আর্থিক ত্যাগ ও দৈহিক কসরত।এছাড়াও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও রাজনৈতিক সংহতিতেও 
হজ্জের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। হজ্জ মওসুমে মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোয় বিশেষত সৌদি আরবের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়ে যায়। এ সময় ব্যবসায়ী বিশ্ব মুসলিম নেতারা আলাপ-আলোচনা-চুক্তির মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করতে পারেন। অনুরূপভাবে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত মুসলিম নেতারা পারস্পরিক মতবিনিময়ের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান করতে পারেন। 
এতে বিশ্ব মুসলিম নেতাদের মধ্যে রাজনৈতিক সংহতি গড়ে উঠতে পারে।হজ্জের সময় তারা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিশ্বমুসলিম সমাজ-সংস্কৃতিকে সুসংহত ও সমৃদ্ধ করতে পারেন। নির্যাতিত-নিপীড়িত-বঞ্চিত ও সাম্রাজ্যবাদীদের আধিপত্যের শিকার মুসলিম বিশ্বের জন্য হজ্জ বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। হজ্জ মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং অধিকার আদায়ের সুযোগ করে দেয়। হজ্জ মওসুমে মুসলিম বিশ্বের নেতারা বিভিন্ন মুসলিম দেশের মধ্যে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-মতভেদ নিরসনে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারেন। এ ছাড়া হজ্জের বিশ্ব সম্মেলন থেকে মুসলিম নেতারা নিজেদের অধিকার আদায়ের লক্ষে আধিপত্য- বাদীদের মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ লাভ করেন। ইসলামের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ সহ প্রচারিত অন্যান্য অপবাদের বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বের করণীয় সম্পর্কে সঠিক দিকনির্দেশনাও দিতে পারেন তারা। আরাফাত ময়দানে অবস্থান হজ্জের অন্যতম ফরজ কাজ। তবে এ অবস্থান নিছক অবস্থানই নয়। এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য সমবেত বিশ্ব মুসলিমের করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে বিশ্বনেতাদের দিকনির্দেশনা দেয়া। মহানবী সা: বিদায় হজ্জের সময় আরাফাত ময়দানে উপস্থিত মুসলিমদের উদ্দেশে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন বিষয়ের দিকনির্দেশনা দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিয়েছেন এবং তার বক্তব্য অনুপস্থিতদের কাছে পৌঁছানোরও নির্দেশ দিয়েছেন। ঐতিহাসিকেরা। মহা নবীর এ ভাষণকে বিদায় হজ্জের ভাষণ নামে আখ্যাত করেছেন। পবিত্র কাবাঘর প্রদক্ষিণ, আরাফাত ময়দানে অবস্থান, সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মধ্যে দৌড়ানো, জামারায় পাথর নিপে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি ইত্যাদি হজ্জের আনুষ্ঠানিক ইবাদত। হজ্জের এসব ইবাদত পারস্পরিক সম্পর্কিত হলেও এর প্রত্যেকটির মধ্যেই রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও নিজস্ব ঐতিহ্য।  কাবাঘর প্রদক্ষিণ ও পশু কোরবানির মাধ্যমে হজরত ইব্রাহীম ও ইসমাইলের আদর্শ-ত্যাগের প্রতি প্রকাশিত হয় গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন। জামারায় পাথর নিক্ষেপের সাথে জড়িত আছে শয়তানের প্রতি বালক ইসমাইলের অবজ্ঞার নিদর্শন। আর সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে দৌড়ানোর মধ্যে নিহিত আছে শিশু ছেলে হজরত ইসমাইলের প্রতি বিবি হাজেরার ব্যাকুলতা স্মরণ। প্রকৃতপক্ষে হজ্জ একটি ঐতিহ্যবাহী অনন্য ফরজ ইবাদত ও বিশ্ব মুসলিম সম্মেলন। ইসলামী পুনর্জাগরণের অন্যতম মাধ্যম হজ্জ এবং কা‘বা। রামাযান মাস যেমন সমগ্র মুসলিম জাহানে তাক্বওয়া-পরহেযগারীর একটি অনন্য মওসুম, ঠিক তেমনি হজ্জও মুসলিম দুনিয়ায় ইসলামী জিন্দেগী ও জাগরণের এক মহা মূল্যবান মুহূর্ত। এটা কোন অত্যুক্তি নয়, বরং শরী‘আত প্রণেতা কর্তৃক নির্দেশিত ইলাহী ব্যবস্থাপনা। দুনিয়ার অবস্থা যতই খারাপ হোক না কেন, কালের গতি যতই জটিল হোক না কেন, বিশ্ব ব্যাপী ইসলামের প্রচার-প্রসার এবং তার প্রতিষ্ঠা অব্যাহত গতিতেই চলতে থাকবে। মানব দেহে হৃদপিন্ডের যে অবস্থান এবং গুরুত্ব, ঠিক তেমনি সমগ্র ইসলামী দুনিয়ায় কা‘বা ঘরের অবস্থান। মানব দেহের দিল যতদিন সক্রিয় থাকবে ততদিন নানা প্রকার রোগের আক্রমণে যতই দুর্বল আর শক্তিহীন হোক না কেন, সে যেমন মরে যাবে না, ঠিক তেমনি ইসলামী দুনিয়ায় এই দিলও প্রতি বছর দূর-দূরান্তর পর্যন্ত প্রসারিত ‘ধমনীর’ মাধ্যমে রক্ত শুষতে এবং তা আবার সমগ্র দেহে বিস্তার লাভ করতে থাকবে। যতদিন এ দিল সক্রিয় থাকবে এবং রক্তের এ প্রবহধারা চলতে থাকবে, ততদিন সে দেহের জীবন শেষ হওয়া সম্ভব নয়, রোগ-ব্যাধিতে সে দেহ যতই ক্ষীণ, জর্জরিত ও দুর্বল হোক না কেন। পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণ এক কথায় সমগ্র দিক হতে অগণিত জাতি এবং অসংখ্য দেশ হতে লাখ লাখ মানুষ হাজার হাজার মাইল পথ অতিক্রম করে একই কেন্দ্রের দিকে ছুটে আসছে। 
তাদের শারীরিক গঠন ও আকৃতি বিভিন্ন, বর্ণ বিভিন্ন, ভাষা বিভিন্ন কিন্তু কেন্দ্রের নিকটবর্তী এক নির্র্দিষ্ট স্থান পর্যন্ত পৌঁছেই নিজ নিজ জাতীয় পোশাক খুলে ফেলে এবং সকলেই একই ধরনের পোশাক পরিধান করে। এভাবে দুনিয়ার হাজার হাজার জাতির মধ্য হতে লক্ষ লক্ষ তাওহীদী জনতা ছুটে এসে একই পদ্ধতিতে সালাত আদায় করে। সকলের পোশাক এক, সকলের একই ইমাম, একই গতিবিধি ও একই ভাষায় সালাত আদায় করে। এভাবে সমবেত লক্ষ জনতার ভাষা, জাতি, দেশ, বংশ এবং গোত্রের কৃত্রিম বৈষম্য বিচূর্ণ হয়ে একাকার হয়ে যায়। এতে সমগ্র বিশ্বাসী মানুষের সমন্বয়ে যেন একটি বিরাট সম্মেলনর সৃষ্টি হয়। তারপর এ বিশাল আন্তর্জাতিক ঐক্য যখন পথের প্রত্যেক চড়াই-উৎরাইয়ে একই ‘লাব্বাইক’ ধ্বনিতে এগিয়ে চলে, তখন এক আশ্চর্য পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সেখানে অবাতিরত হয় এক অভাবনীয় দৃশ্যের। সে পরিবেশে মানুষ নিজেকে ভুলে গিয়ে এক অচিন্তনীয় ভাবধারায় মত্ত হয়ে পড়ে। এসব কাজে যে পবিত্র পরিবেশ ও আধ্যাত্মিক মনোভাবের সৃষ্টি হয়, দুনিয়ার অন্য কোন ধর্ম বা জীবন ব্যবস্থায় তার তুলনা নেই।এ উদ্দেশ্য ও অনুভূতি সামনে রেখে হজ্জ উদ্যাপন করলে একদিকে যেমন ব্যক্তিগতভাবে উন্নত চরিত্রের মানুষ হওয়া যাবে, অন্যদিকে মুসলিম উম্মাহর ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক দৃঢ় ও অটুট হওয়ার সাথে সাথে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দ্বীন প্রতিষ্ঠার কার্যকর কর্মসূচী প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন সহজ হবে। হজ্জ সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ও বিশ্বজনীন মানবতা বিকাশের অন্যতম একটি মাধ্যম। সারা জীবন ব্যাপী কষ্টার্জিত অর্থে যে নিরাপদ আশ্রয় গড়ে তোলা হয়, আনন্দ-ভালবাসা, স্নেহ-মমতা, স্ত্রী-পুত্র-কন্যা সহ নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে যে নিবিড় মায়াময় সম্পর্কের সৃষ্টি হয়, একমাত্র আল্লাহর মহব্বতে সে সবকিছুর মায়া-বন্ধন ছিন্ন করে ‘লাব্বাইক’ অর্থাৎ ‘আমি আমার মহান প্রভুর ডাকে সাড়া দিয়ে বেরিয়ে পড়েছি’ উচ্চারণ করে দীর্ঘ পথের ক্লান্তি, সফরের সীমাহীন তাকলীফ সহ্য করে আল্লাহর ঘরে উপনীত হতে হয়।  এভাবে হজ্জ সমাপন করে যখন কেউ ঘরে ফিরে আসে, তখন তার অবস্থা সদ্যজাত মা‘ছূম শিশুর মতই হয়ে যায়। দুনিয়ার লোভ-লালসা, স্বার্থপরতা, পঙ্কিল-আবিলতা তাকে স্পর্শ করতে পারে না। এভাবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে হজ্জের দ্বারা যে চারিত্রিক উৎকর্ষ ও আধ্যাত্মিক উন্নতি ঘটে, তা মানুষকে আশরাফুল মাখলূক্বাতের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এর কার্যকর ভূমিকা সত্যিই বাস্তবিক। ইহরাম বেঁধে ‘লাব্বাইক’ বলে যখন হারাম শরীফের চতুর্দিক থেকে মানুষ ছুটে আসে এবং বায়তুল্লাহ শরীফ ত্বাওয়াফ করতে থাকে, তখন ছোট-বড়, ধনী-দরিদ্র সকল ভেদাভেদ লোপ পায়। যে মহান স্রষ্টা আসমান-যমীন, জিন-ইনসান তথা সমস্ত জগৎ ও মাখলূক্বাতের স্রষ্টা, যিনি আমাদের ইহ-পরকালের একমাত্র প্রভু, তার ডাকে সাড়া দিয়ে সেখানে হাজির হওয়ার পর দুনিয়ায় প্রচলিত মানুষের মনগড়া কৃত্রিম ভেদাভেদের কথা কখনও মনে স্থান পায় না।হিংসা-বিদ্বেষ ও আত্ম অহমিকা বর্জনে হজ্জের প্রভাব সত্যিই আশ্চর্যজনক। ভাষা, বর্ণ, গোত্র, সংস্কৃতি ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও সবাই যেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভাই ভাই হয়ে বিশ্ব জাহানের পালনকর্তা মহান প্রভু আল্লাহর দরবারে হাজির হওয়ার আগ্রহে ব্যাকুল। নিজেদের যাবতীয় গুনাহ মাফ করিয়ে নেয়ার চূড়ান্ত ব্যস্ততা। সত্যি এক অকল্পনীয় ও অচিন্তনীয় দৃশ্য। তাই মুসলিম বিশ্বের কাছে হজ্জের গুরুত্ব সত্যিই অবর্ণনীয়। লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক  raihan567@yahoo.com