ঠাকুরগাঁওয়ে দুপুরেই বন্ধ হয়ে যায় ৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

242

মোঃ মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:সরকারের বেধে দেওয়া সময়ের আগেই বিদ্যালয় ছুটি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার ১টি দাখিল মাদ্রাসা ও ২টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠান গুলো হল বহরমপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, টি ইসলাম ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ও বহরমপুর দাখিল মাদ্রাসা। এদিকে উপজেলা মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস বলছে, আমাদের আওতায় থাকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসা গুলো সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ক্লাশ চলবে। এর মধ্যে শুধুমাত্র দুপুরে খাওয়ার জন্য আধা ঘণ্টা সময় বিরতী দেওয়ার সরকারী বিধান রয়েছে। ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার ও ১৫ জানুয়ারি বুধবার সরজমিনে গিয়ে, বহরমপুর দাখিল মাদ্রাসা বেলা ১টায় সব শ্রেনীকক্ষে তালাবন্ধ দেখা যায়, আশ পাশের মানুষজনকে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায়, মাদ্রাসা ছুটি হয়ে গেছে যা নিয়মিতভাবে এসময়ে ছুটি হয়ে থাকে। এরপর বহরমপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও টি ইসলাম ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে একই চিত্র দেখা যায়। এ দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বেলা দেড়টায় ছুটি দিয়ে দেয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাধিক অভিভাবকের সাথে কথা হলে তারা জানায় , সকাল ১০ টায় ছেলে মেয়েরা বিদ্যালয় গিয়ে আবার ১টা না বাজতে চলে আসে। আসলে এই তিন ঘন্টায় এতগুলো বইয়ের কি ক্লাশ হয় তা ভাবতে আমরা অবাক হয়। শিক্ষকদের এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেও তারাও সেভাবে আমলে নেই না। বাধ্য হয়েই ছেলে মেয়েরো কোচিং নির্ভর হয়ে পড়েছে। বর্তমানে তাদের পড়াশুনা কোচিং নির্ভর বলে জানান, অভিভাবকরা। তারা অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের ক্লাশে ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় পাশ করতে পারবে না বলে মন্তব্য তাদের। টি ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম বলেন,১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার আমরা দুপুর ১টা পর্যন্ত বিদ্যালয় চালায়। তবে ১৫ জানুয়ারি বুধবার ও মঙ্গলবারের সময়ে বন্ধ কেন প্রশ্নে বলেন ষ্টাফের মা মারা গেছে তাই।বহরমপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, রেজুলেশন করে আমরা ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার ১টা পর্যন্ত চালায়। তবে বহরুমপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বক্তব্য নিতে বারবার ফোন দিলেও তিনি তাতে সাড়া দেন নি। হরিপুর উজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস আর ফারুক বলেন, সরকারের বেধে দেওয়া নিয়মেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালাতে হবে। নিজস্ব কোন নিয়ম চলবে না। হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল করিম মুঠোফোনে বলেন, এভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। আপনি একটু শিক্ষা অফিসার বা একাডেমিক সুপারভাইজারের সাথে কথা বলেন, আমি তাদের ব্যবস্থা নিতে বলছি।