রায়হান আহমেদ তপাদার: গত সাত দশক ধরে ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরায়েলিদের বন্দুক-বোমার প্রধান লক্ষ্যবস্তু হয়ে আছে এই শিশুরা। এই সাত দশকে সাতটি প্রজন্মের এমন হাজারো শিশু ঝরে গেছে। কিন্তু গাজাবাসী জানে তারা নিজে মরলেও জাতিকে টিকিয়ে রাখতে হবে। তাই ধ্বংসপ্রায় ফিলিস্তিনি জাতিকে টেকাতে, অজস্র মৃত্যুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শহীদদের শূন্যস্থান ভরাটের জন্য আরও আরও সন্তানের জন্ম দিয়ে চলে তারা। তাতেও সংকুচিত হয়ে আসে বংশগতির ধারা।৭ অক্টোবর ইসরায়েল ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর গত এক মাস ধরে গাজায় তীব্র বোমা বর্ষণ করে চলেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা প্রতিদিনই বেড়েই চলেছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহতদের এক-তৃতীয়াংশই শিশু। মানবাধিকার সংগঠন ডিফেন্স ফর চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল ফিলিস্তিনের (ডিসিআইপি) হিসাবে, এ পর্যন্ত ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অব্যাহত হামলায় গাজা উপত্যকায় গড়ে প্রতি ১৫ মিনিটে একজন করে শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। গাজার আল শিফা হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ঘাসান আবু সিত্তাহও বিবিসিকে জানিয়েছেন, ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আহতদের ৪০ শতাংশই ছিল শিশু। পরিবারের সব সদস্যকে হারানো এমন কিছু শিশুর কথা জানাতে গিয়ে এই চিকিৎসক আবেগঘন এক পোস্টে লেখেন, 'যে শিশুটিকে দেখাশোনা করার জন্য কেউ থাকল না, তার জন্য এই মহাবিশ্বে হাসপাতালের বিছানার মতো এমন নিঃসঙ্গ জায়গা আর নেই।' গাজা উপত্যকায় শিশুদের বয়স পরিমাপ করা হয় তারা কতগুলো ইসরায়েলি হামলার শিকার হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে। গাজার ২৩ লাখ জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকের বয়স ১৮ বছরের কম এবং বর্তমান আক্রমণটি গত ১৫ বছরের মধ্যে ইসরায়েলের পঞ্চম ও সবচেয়ে বড় আক্রমণ। সেভ দ্য চিলড্রেনের ২০২২ সালের এক প্রতিবেদন অনুসারে, গাজায় প্রতি পাঁচ শিশুর মধ্যে চার শিশু বিষণ্নতা ও ভয়ের মধ্যে বাস করছে। এখানকার অর্ধেকেরও বেশি শিশু আত্মহত্যার কথা ভাবে এবং অন্য শিশুদের মৃত্যুর সাক্ষী হওয়ার ট্রমা নিয়ে বেঁচে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় শত শত নারী ও শিশুর প্রাণহানির ঘটনায় গত ১৪ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায় ইউনিসেফ।এদিকে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত কয়েক সপ্তাহে গাজার বেশ কয়েকটি পানি শোধনাগার বন্ধ হয়ে গেছে। এদিন দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকার বাসিন্দারা মাত্র তিন ঘণ্টার জন্য পানি পেয়েছে। সেভ দ্য চিলড্রেনের ফিলিস্তিন কার্যালয়ের পরিচালক জেসন লি'র ভাষ্য, পানির প্রবাহ ও গাজার শিশুদের জীবন এখন একই সূত্রে গাঁথা। যুদ্ধের অবসান বা যুদ্ধবিরতি না হলে হাজারো শিশুর প্রাণহানি হবে। গত ২৩ বছরে ২৩০১ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত ডিফেন্স ফর চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল প্যালেস্টাইনের (ডিসিআইপি) হিসাব অনুসারে। ২০০০ সাল থেকে চলতি আগ্রাসনের আগ পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত ফিলিস্তিনি শিশুর সংখ্যা দুই হাজার ৩০১। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে ২০১৪ সালে। অধিকৃত পশ্চিম তীরে তিন ইসরায়েলি কিশোরকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে সে বছর ৮ জুলাই থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত ৫০ দিন গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। অপারেশন প্রোটেকটিভ এইজ নামে পরিচিত ওই অভিযানে দুই হাজার ২৫১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন, যাদের মধ্যে ৫৫১ জনই ছিল শিশু। নারী ছিলেন ২৯৯ জন।মৃত্যু উপত্যকায় জন্মের অপেক্ষায় ৫০ হাজার শিশু ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার বোমাবর্ষণের মধ্যেই মধ্য গাজার আল-আহলি আরব নামের হাসপাতালে এক নজিরবিহীন হামলায় অন্তত পাঁচ-শো মানুষ নিহত হন। এর আগে ইসরায়েলি হামলায় আহত শত শত রোগী ও গৃহহীন অসংখ্য বাসিন্দা নিরাপদ ভেবে ওই হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এই হামলার পর জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অফিসের মুখপাত্র সেলিম ওয়েইস এক বিবৃতিতে বলেন, গাজার কোনো জায়গাই এখন শিশু ও তার পরিবারের জন্য নিরাপদ নয়। হাসপাতালে হামলার ওই ঘটনাকে ভয়াবহ ও অগ্রহণযোগ্য অভিহিত করে এর তীব্র নিন্দা জানান তিনি। এমন পরিস্থিতিতেও বোমা-বারুদে মাটিতে মিশে যেতে থাকা এই উপত্যকায় অন্তত ৫০ হাজার নারী সন্তান জন্ম দিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ)। সংস্থাটির হিসাব অনুসারে, এখন গাজায় প্রতিদিন অন্তত ১৬০ জন নারী সন্তান প্রসব করছেন। বিশেষজ্ঞরা ও মানবিক সংস্থাগুলোর ভাষ্য, গাজায় খাদ্য, পানি ও জ্বালানি ফুরিয়ে আসায় এখানকার পরিবেশ অন্তঃসত্ত্বা নারী, নতুন মা ও শিশুদের জন্য আরও বেশি প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে। তাহলে কি ইসরায়েলের উদ্দেশ্য প্রজন্মকে পঙ্গু করে দেওয়া। ডিসিআইপির হিসাবে ২০১৮ সালে ৫৬ ফিলিস্তিনি শিশু ইসরায়েলি সেনাদের হাতে নিহত হয়। কিছু প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে সংগঠনটি জানায়, টার্গেট হওয়া শিশুগুলো ছিল নিরস্ত্র। তারা ইসরায়েল বা এর নাগরিকদের জন্য কোনো ধরনের হুমকিও তৈরি করেনি। এদের মধ্যে পাঁচ শিশুর বয়স ছিল ১২ বছরের নিচে। তখন এ সংক্রান্ত এক নিবন্ধে লন্ডনভিত্তিক গণমাধ্যম-পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান মিডল ইস্ট মনিটরের রামোনা ওয়াদি লেখেন, ফিলিস্তিনি শিশু হত্যা বা জখম করার মাধ্যমে এমন একটি প্রজন্মকে পঙ্গু করে দেওয়া হচ্ছে, যারা উপনিবেশবিরোধী লড়াই চালু রাখতে পারে। একইসঙ্গে মনে পড়ে আট বছর আগে যুদ্ধের তাড়া খেয়ে তুরস্কের উপকূলে ভেসে ওঠা সিরীয় শরণার্থী শিশু আয়লান কুর্দির মুখ। তাই বুঝি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ছাদখোলা কারাগারে জীবন-মৃত্যুর অঙ্ক কষতে থাকা ফিলিস্তিনিরা মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় মরণ অবধারিত জেনেও গুলতি কিংবা পাথর হাতে সটান দাঁড়িয়ে যান ভয়াল ট্যাঙ্কের সামনে। ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাত অনেক দিন ধরে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে চলে আসা সংঘাতকে নির্দেশ করে। একে বৃহত্তর অর্থে আরব-ইসরায়েল সংঘাতের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হিসেবেও আখ্যায়িত করা যায়। দুটি আলাদা জাতি করার জন্য অনেক পরিকল্পনাই করা হয়েছে। এই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হলে ইসরায়েলের পাশে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রও গঠিত হতো। একটি সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, দুই দেশের অধিকাংশ মানুষই এই সংঘাত নিরসনে অন্য যেকোনো পরিকল্পনার তুলনায় দুই-জাতি পরিকল্পনাকে বেশি সমর্থন করে। অধিকাংশ ফিলিস্তিনি মনে করে, তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র হওয়া উচিত পশ্চিমতীর ও গাজা উপত্যকাকে কেন্দ্র করে। অধিকাংশ ইসরায়েলিও এই ধারণা সমর্থন করে। হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন শিক্ষাবিদ সবকিছু বাদ দিয়ে একটিমাত্র রাষ্ট্র গঠনকে সমর্থন করে। তাদের মতে সমগ্র ইসরায়েল, পশ্চিমতীর ও গাজা মিলে একটি দ্বিজাতীয় রাষ্ট্র গঠিত হওয়া উচিত, যেখানে সবার সমান অধিকার থাকবে। কিন্তু এ নিয়ে কোনো স্থির সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে ইসরায়েল বহুকাল ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর যে ধরনের হামলা চালিয়ে আসছে তাতে সারা বিশ্ব চুপ। কারো যেন কিছু বলার ছিল না। ফিলিস্তিনিরা পাথর মেরে ঠেকাতে চেয়েছে ইসরায়েলি আগ্রাসন। আর তার প্রতিবাদে ইসরায়েল ভয়ানক সব অস্ত্র দিয়ে পাখির মতো হত্যা করেছে ফিলিস্তিনিদের। অথচ এত সমস্যা তো দরকার হয় না। ফিলিস্তিনিদের তাদের হিস্যা দিয়ে দিলেই তো সমস্যা মিটে যায়। কিন্তু সেখানেই যত আপত্তি। আর এই সংকটের মধ্যস্থতা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এখন সেই মধ্যস্থতাকারীরা নৌবহর নিয়ে আসছে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। এক মাস ধরে ইসরায়েলি আচরণে মনে হচ্ছে, এরা ফিলিস্তিনিদের সব এলাকা দখল করে ফেললে যেন সব সংকট দূর হবে। কিন্তু একটা স্বাধীনতাকামী জাতিকে কি এভাবে স্তব্ধ করে দেওয়া যায়? যে কারণেই হামাস অনুভব করে তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এরপরই হামাস চালায় এক নজিরবিহীন হামলা। যে হামলায় ইসরায়েলিদের বিশ্বাসে চিড় ধরে গেছে। হামাসের এই অভিযানে ইসরায়েল কার্যত হতভম্ব হয়ে গেছে। ফিলিস্তিনিরা এমন একসময় ‘আল-আকসা তুফান’ নামের এ অভিযান চালিয়েছে, যখন তাদের অভিযান চালানোর ইচ্ছার কোনো আলামতই পাওয়া যায়নি। আচমকা আক্রমণে ইসরায়েল এমন ভয়াবহ ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, যা তারা কল্পনাও করতে পারেনি। গত ৭৫ বছরের দখলদারত্বের ইতিহাসে এটি ছিল ফিলিস্তিনিদের কাছে ইসরায়েলিদের জন্য বড় ধরনের সামরিক পরাজয়। ফিলিস্তিনিদের নজিরবিহীন এ অভিযানে নিহত ইসরায়েলির সংখ্যা সংখা অনেক। ওই অভিযানে আহত হয়েছে আরো অনেকে। এত বড় এ ঘটনায় ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা ব্যবস্থার দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ ফিলিস্তিনিরা আকাশ ও স্থলপথে এ অভিযান চালিয়েছে। একই সঙ্গে তারা বিভিন্ন টানেলও ব্যবহার করেছে। এ ছাড়া ফিলিস্তিনিরা মেরকাভা ট্যাংকসহ প্রচুর সামরিক সরঞ্জাম হাতিয়ে নিয়েছে, যেসব অস্ত্রের কারণে ইসরায়েল গর্ব করত। ফিলিস্তিনিরা অন্তত ৫০ জন ইসরায়েলিকে আটক করেছে। এর মধ্যে এক জেনারেলসহ বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাও রয়েছে। আরো বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, ইসরায়েলের ব্যয়বহুল আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এ সময় অচল ছিল এবং ফিলিস্তিনের রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সহজে আকাশসীমা অতিক্রম করে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়। ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার জবাবে গাজায় বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। এরই মধ্যে উপত্যকাটি সম্পূর্ণভাবে অবরুদ্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হলো। গাজায় স্থল অভিযানের জন্য সেনা সমাবেশও ঘটানো হয়েছে। গাজা সম্পূর্ণ অবরোধ করার অর্থ হচ্ছে, গাজা উপত্যকায় জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় কোনো কিছুই ঢুকতে দেবে না ইসরায়েল। এখানে বড় কথা হচ্ছে, অস্ত্র বিক্রি করে সংঘাত টিকিয়ে রাখা যাদের অর্থনীতি সেসব দেশ ইসরায়েলের ওপর হামলায় যে ব্যথা পেয়েছে সে ব্যথা তারা কি ভুলবে? তারা কি ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সম্পর্ক শীতল করতে দেবে? অস্ত্র ব্যবসা বন্ধ হবে না, মানুষ হত্যা হবে-শিশু হত্যা হবে। খুনের এ বীভৎসতায় বসুন্ধরা কেঁপে উঠলেও ইসরায়েল তার আগ্রাসন বন্ধ করবে কি? মানবাধিকারে কথা বলে যারা আহা উহু করেন আজ তাদের কিছু বলার নেই? তবে হামাসকে যত সহজে নির্মূল করার কথা ভাবছে সেটা বোধ হয় সম্ভব হবে না। স্বাধীনতাকামী কোনো গোষ্ঠীকে যে নির্মূল করা যায় না সে শিক্ষা গত হামলা থেকে ইসরায়েল কি নেয়নি? বস্তুত, বর্তমানে ইসরাইলের আন্তর্জাতিক আইন ভঙের বিষয়ে কথা বলার অর্থ একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্বহীনতার বিষয়েও কথা বলা। এমনকি এ ক্ষেত্রে কারও বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় না এবং কাউকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার উদ্যোগও নেয়া হয় না। পরিণামে নিয়মিতভাবে ইসরাইলের আইন ভঙের কারণে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী কী করা উচিত তার কোনো উদ্ধৃতি দিতেও যে কেউ অনীহ। আর দায়বদ্ধতা? সে তো বহুকাল ধরে অপরাধের দৃশ্যপট থেকে উধাও হয়েছে। যদি ইসরাইল ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যা করতে চায় তাহলে দেশটি হত্যা করবেই; কারণ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সুচিন্তিতভাবে নীরবে সে তা বাস্তবায়ন করবে। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরাইলি আইন ভঙ্গকে গণহত্যা বলার বিষয়টি এড়িয়ে যাবে। বিপরীতে তারা একে অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধ বলতে স্বচ্ছন্দবোধ করবে, যার অপরাধীদের কখনও ন্যায়বিচারের আওতায় আনা হবে না। গত বছরসহ বছরের পর বছর ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনি শিশু হত্যা বিশ্ব ভুলে গেছে। স্বার্থের কাছে মানবতা যখন পরাজিত হয়, তার প্রতিফলন এমনই হয়। লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক raihan567@yahoo.com