পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন ও নওয়াজ শরীফের বিজয়

67
রায়হান আহমেদ তপাদার:
গণতন্ত্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক বরাবরই তিক্ত। দেশটি স্বাধীন হওয়ার তেইশ বছরের মধ্যে সেখানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। অথচ একই সঙ্গে স্বাধীন হওয়া ভারত উনিশ শো একান্ন থেকে বায়ান্ন সালেই নির্বাচন আয়োজন করেছিল। পাকিস্তান পঞ্চাশের দশক শেষ হওয়ার আগেই নির্বাচনের পথে হাঁটতে চেয়েছিল। কিন্তু একজন জেনারেলের নেতৃত্বে প্রথম সংঘটিত অভ্যুত্থানের কারণে সেই পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হয়। আইয়ুব খান নামের সেই জেনারেল পাকিস্তানের আবহাওয়াকে গণতন্ত্রের জন্য অনুপযুক্ত বলে মনে করতেন। আইয়ুব খান ক্ষমতাচ্যুত না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানকে প্রথম সাধারণ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল। উনিশ শো সত্তর সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও জুলফিকার আলি ভুট্টোর যোগসাজশে সামরিক শাসকেরা ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ম্যাকিয়াভেলিয়ান কায়দায় ছলচাতুরী করে হলেও, ভুট্টো প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের প্রথম নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি পাকিস্তানিদের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত উচ্চ আশার প্রথম ভান্ডার। যদিও সেই উচ্চ প্রত্যাশার খুব সামান্যই তিনি পূরণ করতে পেরেছিলেন। পাকিস্তানে সম্প্রতি যেসব ঘটনা ঘটেছে, তা অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনকে জনগণের রায়সূচক নির্বাচন হিসেবে নেওয়া প্রায় অসম্ভব করে তুলেছে। দেখা যাচ্ছে, দুই হাজার আঠার সালে যে ক্ষমতাধর প্রতিষ্ঠান ইমরান খানকে গদিতে বসতে সর্বাত্মক সহায়তা দিয়েছিল, সেই প্রতিষ্ঠান এখন সাইফার মামলা, তোষাখানা মামলা এবং ইদ্দত মামলা দিয়ে তাঁকে শুধু শায়েস্তা করতেই চাচ্ছে না, বরং তাঁর দলকে পুরোপুরি ধ্বংস করার এবং দলটির যাবতীয় নির্বাচনী সম্ভাবনাকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এখানেই শেষ নয়। সেই পর্দার আড়ালের শক্তি এক সময় যে ব্যক্তির রাজনৈতিক পদে থাকার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, তাঁকেই এখন চতুর্থ মেয়াদে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বানানোর নিশ্চয়তা দিচ্ছে।



নওয়াজ শরিফের আরেক দফা পতনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে-এই বিষয়টি তিনি নিজে বুঝতে পারছেন কিনা তা যে কাউকে ভাবাতে পারে। যদি তাঁর দল পিএমএল-এন জয়লাভ করেও, তবু তার সেই জয়ের বৈধতা গোড়া থেকেই ক্ষুণ্ন হবে। ১৯৭৭ সালের নির্বাচন ভুট্টোর ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার পথ প্রশস্ত করেছিল। সরকার ও বিরোধী দলের বাদানুবাদের মুখে সামরিক বাহিনী পরিস্থিতি সামলাতে হস্তক্ষেপ করে এবং বিতর্কিত নির্বাচনের পুনরায় নির্বাচন দিতে চেয়েছিল। জাতির সামনে তখন সবচেয়ে অন্ধকার সময় ঘনিয়ে আসছিল। এরপর কালো মেঘ জাতিকে ছেয়ে ফেলল। ১৯৮৮ সালে বিমান দুর্ঘটনায় জেনারেল জিয়াউল হক মারা না যাওয়া পর্যন্ত সেই কালো মেঘ কাটেনি। আসলে সেই কালো মেঘের ছায়া কখনোই পাকিস্তানের মাথা থেকে সরেনি। এবং সরবে বলেও মনে হচ্ছে না। যাইহোক, চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি হয়ে গেল পাকিস্তানের ১৬ তম জাতীয় নির্বাচন। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ আর দমন-পীড়নের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছে এই নির্বাচন। এবং এই নির্বাচনের মাধ্যমেই গঠিত হবে পরবর্তী সরকার, যদিও নির্বাচন এবং এতে কারা বিজয়ী হবেন এই পুরো বিষয়ে সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে বলেই মনে করা হয়। এই নির্বাচনে অন্যান্য বড় দলগুলো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ইমরান খান নিজে দণ্ডিত হয়ে নির্বাচনের বাইরে আছেন।আদালতে দলীয় প্রতীক বাতিল হওয়ায় তার দলের প্রার্থীরাও লড়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে।পাকিস্তানে সামরিক অভ্যুত্থান তো বটেই, এমনকি সরকারের গঠন কিংবা পতনের মতো বিষয়গুলোতেও অতীতে দেশটির সামরিক বাহিনীর ভূমিকা দেখা গেছে। কিন্তু দেশটির রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর এমন শক্তিশালী হয়ে ওঠার কারণ কী? আর নির্বাচনের বাইরে থাকা ইমরান খানের ভবিষ্যতই বা এখন কোন দিকে যাচ্ছে? এমন প্রশ্ন এখন পাকিস্তানের রাজনীতিতে ঘুরপাক খাচ্ছে। এটার উত্তর লুকিয়ে আছে দেশটির ইতিহাসে।


আরো পরিষ্কার করে বললে পাকিস্তান রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের পরবর্তী কয়েক বছরে। এখানে কয়েক টি ঘটনা তাৎপর্য পূর্ণ। আর সেগুলো হচ্ছে: উনিশ শো সাতচল্লিশ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার এক বছরের মাথায় দেশটির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ’র মৃত্যু। তার মৃত্যুর তিন বছরের মাথায় দেশটির আরেক শীর্ষ নেতা এবং তখনকার প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের গুলিতে নিহত হওয়া। এই দুই মৃত্যু পাকিস্তানের রাজনীতিতে নেতৃত্বের শূন্যতা তৈরি করেছিল। এই একই সময়ে কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ দেশটিতে নিরাপত্তা সংকটও তৈরি করে। দেশটির সেনাবাহিনী নিরাপত্তা এবং বিদেশ নীতিতে ভূমিকা রাখতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। কারণ, তারা রাজনৈতিক নেতৃত্বের গৃহীত পদক্ষেপে সন্তুষ্ট ছিল না। এবং দেশটির রাজনৈতিক নেতারা এমনকি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ নিজেও শুরু থেকেই গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গুলোকে এগিয়ে না নিয়ে একধরণের কর্তৃত্ববাদী শাসনের দিকে হাঁটতে শুরু করেন। যেটা পরে দেশে অনৈক্য তৈরি করে। এই সব কিছু মিলেই পাকিস্তানে এমন একটা পরিস্থিতির উদ্ভব হয় যেটা দেশটির সেনাবাহিনীকে রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ তৈরি করে দেয়। পাকিস্তানে রাষ্ট্র কাঠামোয় সেনাশক্তি প্রথম আসে ১৯৫৪ সালে। তখন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বানানো হয়েছিলো, সেনাপ্রধান আইয়ুব খানকে। এই আইয়ুব খানই ১৯৫৮ সালে দেশটির ক্ষমতা দখল করে নেন। সেখান থেকেই এটার শুরু।তবে প্রশ্ন হচ্ছে,এই সামরিক বাহিনীই কি সব? আইয়ুব খানের পর পাকিস্তানে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে আরো দুটি।সব মিলিয়ে দেশটির প্রায় ৭৭ বছরের ইতিহাসে সামরিক শাসন চলেছে ৩৩ বছরেরও বেশি।পাকিস্তানে সরাসরি এই সেনা শাসন দেশটির সব ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর প্রভাব বলয় তৈরি করে দিয়েছে।কিন্তু এটাও সত্য যে নিকট অতীতে, বিশেষত: ২০০৭ সালের পারভেজ মোশাররফের বিদায়ের পর গত ১৬ বছরে দেশটিতে আর কোন সামরিক অভ্যুত্থান হয়নি।


দেশটির ইতিহাসে সেনা অভ্যুত্থান ছাড়া একটানা দীর্ঘ বেসামরিক শাসন এটাই। কিন্তু এরপরও দেশটিতে সেনাবাহিনীর প্রভাব কমেনি। কারণ বন্দুকের শক্তি ছাড়াও সেনাবাহিনীর দেশটিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ী শক্তি হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছে। আর আছে জনগনের মধ্যে জনপ্রিয়তা। পাকিস্তানের সামরিক বিশ্লেষকের মতে, পাকিস্তানে একটা ন্যারেটিভ আছে যে, আর্মি ছাড়া পাকিস্তানের অস্তিত্ব থাকবে না। কারণ দেশটিতে বহু জাতি, বহু বিভক্তি এবং নিরাপত্তার বহু সংকট আছে। ফলে সেখানে আর্মি পাকিস্তানকে টিকিয়ে রেখেছে। এটা হচ্ছে সামরিক দিক।এর বাইরেও আর্মি বাণিজ্যিকভাবেও শক্তিশালী এবং জনগণের মধ্যেও তার জনপ্রিয়তা আছে। তার চেয়ে বড় কথা রাজনৈতিক দলগুলোই সেনাবাহিনীকে হস্তক্ষেপ করার অজুহাত তৈরি করে দিচ্ছে। পাকিস্তানে সর্বশেষ সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছিলো ১৯৯৯ সালে। সে সময় ক্ষমতায় আসা পারভেজ মোশাররফের বিদায় ঘটে ২০০৭ সালে।এরপর পাকিস্তানে আর কোন সামরিক শাসন আসেনি। এই সময়ে দেশ চালিয়েছে মূলত বেসামরিক প্রশাসন। কিন্তু দেশটিতে অস্থিরতা আগের মতোই চলতে থাকে। অতীতের মতো এই সময়েও কোনও প্রধানমন্ত্রী তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। নওয়াজ শরিফ রাজনীতিতে ফিরে ক্ষমতায় আসলেও আবারও তাকে বিদায় নিতে হয়। একই ভাবে ইমরান খান ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসীন হলেও মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি।পাকিস্তানে এমনসব ঘটনার পেছনে সামরিক বাহিনীই কলকাঠি নেড়েছে বলে মনে করা হয়। কিন্তু ১৬ বছরের বেসামরিক শাসন সত্ত্বেও পাকিস্তানের রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দলগুলো সেনা নিয়ন্ত্রণ থেকে কেন বের হতে পারছে না? সামরিক বাহিনী আগে রাজনীতিতে যেভাবে হস্তক্ষেপ করত, সেটাতে এখন তারা পরিবর্তন এনেছে। এখন তারা প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করে। এটাকে বলা যায়, সামরিক আইন ছাড়াই সামরিক শাসন।


পাকিস্তানের সামরিক এস্টাবলিশমেন্টই মূলত-রাজনীতিতে নানা অস্থিরতা তৈরি করে রেখেছে। তারা এক দলকে অন্য দলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পেরেছে। এছাড়া প্রতি দশ থেকে পনের বছর পরপর নতুন কোন নেতাকে তারা সামনে নিয়ে আসছে। ওখানে রাজনৈতিক নেতারাও শর্টকাটে ক্ষমতায় যেতে আগ্রহী। এজন্য তারা সামরিক শক্তির দিকে ঝুঁকে পড়ে। এভাবেই সামরিক বাহিনী এখানে শক্তির ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক দলগুলো দুর্বল হওয়ায় এই ভরকেন্দ্রের বাইরে যেতে পারছে না। এদিকে এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে সশস্ত্র বাহিনী। তবে বারবার ইন্টারনেট-ব্যবস্থা কেন কাজ করছে না, সে বিষয়ে কোনো তরফে কোনো বিশ্বাসযোগ্য ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজা এ বিষয়ে বিভিন্ন সময় স্ববিরোধী নানান ব্যাখ্যা দিয়েছেন। মানুষ অবশ্য ভাবছেন, এসবই ঘটছে সেনাবাহিনীর ইঙ্গিতে, যারা মুসলিম লিগ নেতা নওয়াজ শরিফকে আবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছিল বলে নির্বাচনের আগে ইঙ্গিত মিলেছে। তবে এখন সেটা দুরূহ হয়ে গেল।ভোটের ফলাফল পাল্টে সে রকম কিছু ঘটানো হলে শুরু থেকে নওয়াজকে ব্যাপক রাজনৈতিক বিরোধিতার মুখে পড়তে হবে এবং সম্ভবত তৃতীয় প্রধান দল পিপলস পার্টি সেই সরকারে যুক্ত হবে না। এর ফলে এ রকম একটা সরকারকে টিকে থাকার শর্ত হিসেবে পুরোপুরি সেনা সমর্থনের ওপর নির্ভর করতে হবে। চূড়ান্ত ফল যেটাই ঘোষিত হোক, আপাতত যা স্পষ্ট, তা হলো পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ নেতা হিসেবে ইমরান খানকেই পছন্দ করছেন।আন্তর্জাতিকভাবে এটা আমেরিকার জন্য কিছুটা বিব্রতকর হয়েছে। ইমরানের পদচ্যুতি ও বন্দিত্বের ঘটনাবলিতে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে তারা গত কয়েক মাসজুড়ে নীরবে সমর্থন দিয়েছে বলেই মনে হয়েছে।


এখন পিটিআইয়ের সমর্থকদের জাতীয় পরিসরে যেকোনোভাবে ফিরে আসার মানে হবে ইমরানের কারামুক্তি। স্বভাবত তখন রাজনীতিতে চালকের আসনে থাকবেন তিনি এবং আমেরিকার সঙ্গে দেশটির টানা পোড়েনের নতুন অধ্যায় শুরু হতে পারে। একই অবস্থা তৈরি হতে পারে বর্তমান সেনা নেতৃত্ব ও ইমরানের মধ্যেও, যা পাকিস্তানকে নতুন করে তীব্র এক রাজনৈতিক-প্রশাসনিক সংকটে ফেলবে। পাকিস্তানের এবারের ভোটে ৪ লাখ ৬৫ হাজার পুলিশ এবং এক লাখ সাইত্রিশ হাজার সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। ভোটে সহিংসতা হয়েছে সামান্যই। কিন্তু এত নিরাপত্তায় হওয়া এই ভোটও দেশটিকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দিতে না পারার ভেতর আশপাশের সব দেশের জন্য গুরুতর এক বার্তা রয়েছে। সেই বার্তা হলো নির্বাচনী গণতন্ত্রে একবার দুর্নীতিপূর্ণ হস্তক্ষেপ ঘটে গেলে তা থেকে একটা দেশকে সহজে বের করে আনা যায় না। পাকিস্তানের অভিজ্ঞতায় দেখা যাচ্ছে, নির্বাচন থেকে প্রধান একটা দলকে সরিয়ে রাখার ক্রমাগত বিপুল চেষ্টা এবং প্রশাসনিক চাপে ম্রিয়মাণ এক প্রচারণার মধ্যেও হতাশ ভোটাররা বিপুল ভাবে কেন্দ্রে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন। অর্থাৎ মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সজীব রাখতে চাইছেন। কিন্তু ঔপনিবেশিক সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্রের নেতিবাচক ভূমিকায় সেটা হয়ে উঠছে না। এর ফলে পাকিস্তানে আসন্ন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার দায় মূলত সেখানকার সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্রের ঘাড়েই বর্তায়। যা-ই হোক পাকিস্তানের রাজনীতির ভবিষ্যদ্বাণী করতে না পারলেও এটুকু আন্দাজ করা যায়, সামরিক গোষ্ঠী যতক্ষণ না গণতন্ত্রকে চলার সুযোগ করে দিচ্ছে ততক্ষণ পাকিস্তানের উন্নতি হবে না। যতক্ষণ জনগণকে তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত পাকিস্তানের অন্ধকার দুর হবে না। তবে নতুন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের শাসন আমল কেমন হয়, এটাই এখন দেখার বিষয়। 


লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক  raihan567@yahoo.com