ইবিতে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে প্রগতিশীল শিক্ষকদের মানববন্ধন

50

ইবি প্রতিনিধি:

ইসলামী বিশ্বাবিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষকদের লাঞ্ছনা, কণ্ঠরোধের প্রচেষ্টা ও তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার প্রতিবাদে মানববন্ধ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে এই কর্মসূচি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম। শাপলা ফোরামের সভাপতি আধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক শিক্ষক মানববন্ধনে অংশ নেন। সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আনিছুর রহমান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক জয়শ্রী সেন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সংগঠনের সদস্য অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান, অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফীন ও অধ্যাপক ড. শেলিনা নাসরীন প্রমুখ শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা সেদিন উপাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্ত চলাকালীন সময়ে নিয়োগ না দেওয়ার জন্য উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে কিছু অছাত্র ও বহিরাগত এসে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেয়। আমরা এঘটনায় বিচারের দাবিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম । তবে এবিষয়ে প্রশাসন কোন সুহারা না করায় আমরা মানববন্ধন করতে বাধ্য হয়েছি। সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন বলেন, শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এটা দুঃখজনক। আমাদের কালকে শাপলা ফোরামের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত ছিল যে ২৪ ঘন্টার মধ্যে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সেটার সময় পার হয়ে গেছে। অফিসিয়ালি আমাদের কাছে কোনো নোটিশ আসেনি। যার ফলে আজকে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছি। এদিকে এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলামকে আহবায়ক ও গণিত বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সজীব আলীকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. খন্দকার তৌহিদুল আনাম, কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের পরিচালক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান ও খালেদা জিয়া হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী। কমিটিকে আগামী ১৫ (পনেরো) কর্ম দিবসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের কথা বলা হয়েছে।