যশোরে ট্রেনের নিচেই ঝাঁপিয়ে মা মেয়ের আত্নহত্যা

37

ইয়ানূর রহমান : যশোর সদরের পোলতাডাঙ্গা শশ্নানঘাট এলাকায় ট্রেনের নিচেই
ঝাঁপ দিয়ে মা মেয়ে আত্নহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার বিকাল ৩ টার
সময়। নিহতরা হলেন বড় হৈবতপুর গ্রামের ভাড়াটিয়া লাকি বেগম(৩৫) ও তার মেয়ে
সুমাইয়া খাতুন মিম(১২)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বড় হৈবতপুর গ্রামের মৃত মকসেদ আলীর মেয়ে লাকি
বেগম। স্বামী পরিত্যাক্ত লাকি বেগম তার একমাত্র মেয়ে সুমাইয়া খাতুন
মিমিকে সাথে নিয়ে সাতমাইল বাজারে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতো। রোববার বিকাল ৩
টার সময় তারা মা ও মেয়ে পোলতাডাঙ্গা নামকস্থানে এসে ট্রেনের নিচেই ঝাঁপ
দিয়ে আত্নহত্যা করতে পারে। তবে কি কারণে আত্নহত্যা করেছে তা এখনো জানা
যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী সাখাওয়াত হোসেন জানান, সুন্দরবন এক্সেপ্রেস ট্রেনটি
তিনটার দিকে যাওয়ার পর লাশ দুটি পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। তিনি আরো
বলেন,মেয়েটিকে জোর করে নিয়েই মা ট্রেনের নিচেই ঝাঁপ দেয়।

নিহতের ছোট বোন রোজিনা খাতুন জানান, তিনি জানতেন তার বোন সকালে ডাক্তার
দেখাতে যশোর শহরে গেছে। পরে তার বোনের মোবাইল থেকে ফোন করে জানানো হয়
তারা ট্রেনে কেটে মারা গেছে। তবে কি কারণে তারা আত্নহত্যা করেছে তা তিনি
জানেননা। রোজিনা খাতুন আরো জানান, তার বোনের দুই জায়গায় বিয়ে হয়েছিলো।
বর্তমানে তিনি স্বামী পরিত্যাক্ত।

সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই সেলিম হোসেন জানান, খবর পেয়ে আমি
ঘটনাস্থলে আসি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি এটা আত্নহত্যা।তবে কি কারণে তারা
মা মেয়ে একই সাথে আত্নহত্যা করেছে তা এখনি বলা সম্ভব নয়। তিনি আরো জানান,
মরদেহের পাশ থেকে একটি জম্মদিনের কেক, একটি মোবাইল ফোন ও দুটি ভ্যানিটি
ব্যাগ পাওয়া গেছে। রেলওয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।