নাটোরের সিংড়ায় গ্রীষ্মের গরমে শীতল ছায়া দিচ্ছে শতবর্ষী বট গাছ

10

সৌরভ সোহরাব, সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধিঃ গাছটির বয়স নিয়ে সঠিক মতামত কেউ দিতে পারছেন না, কেউ বলছেন একশত বছর আবার কেউ কেউ মনে করেন গাছটির বয়স দেড়শত বছরেরও অধিক। নাটোরের সিংড়ার ৩নং ইটালী ইউনিয়নের কালাইকুড়ির বরবড়িয়ার শতর্বষী বট গাছটির কথা বলছিলাম। স্থানীয় প্রবীণদের কাছে অসংখ্য স্মৃতি জড়িয়ে আছে গাছটিকে ঘিরে। শত মানুষের স্মৃতি বিজড়িত এই গাছটি এখন কালের সাক্ষি হয়ে দাড়িয়ে আছে। গাছটিকে কেন্দ্র করেই এখানে প্রতি বছর বৈশাখের ২১ তারিখে ১ দিন ব্যাপী মেলা বসে। মেলা উপলক্ষ্যে আশপাশের গ্রাম গুলোতে শুরু হয় আনন্দ উৎসবের ধুম। প্রতিটি বাড়িতে আসে দুরের ও কাছের লোক কুটুম। তবে শতর্বষী এই গাছের চার পাশে প্রায় দুই একর সরকারী জায়গা এখন প্রভাবশালীদের বেদখলের চেষ্টা চলছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। জায়গা উদ্ধারের দাবি তাদের।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গাছের নীচে অনেক কৃষক কাজের ফাকে বসে গল্প করছেন। এসময় কথা হয় তাদের সাথে।
কালাইকুড়ি গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, গ্রীষ্মের দিনে অনেক মানুষ এখানে এসে বসে থাকে। কাজের ফাঁকে আমরাও বটগাছের শীতল ছায়ার বসে আরাম করি, গল্প করি ।
ছালাম নামের আরেক কৃষক জানান, বাব দাদাদের কাছে শুনেছি এই গাছে নাকি আগে ভূত-পেতিœর আছর ছিল। তখন রাস্তা ঘাট তেমন ছিল না। গাছের চার পাশে জঙ্গলে ভরে ছিল, দিনের ভেলাতেও মানুষ এখানে এসে ভয় পেত।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রাথমকি বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহকারী শিক্ষক আব্দুল বারি জানান, গাছটি অনেক প্রাচীন। সরকারী ভাবে গাছটি রক্ষণাবেক্ষনের দাবি জানান তিনি।
মানিক দিঘী গ্রামের কবি, লেখক ও গণমাধ্যম কর্মী এনামুল হক বাদশা বলেন, বরবড়িয়ার এই প্রাচীন গাছ আর এখানকার বৈশাখী মেলা দুটোই এই এলাকার ঐতিহ্য। এ দুটো ঐতিহ্যকেই ধরে রাখার দাবি তার।