ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে খামারের ১৬০ টি বাক্সের মৌমাছি মেরে ফেলার অভিযোগ !

6

মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ১ নং- পাড়িয়া ইউনিয়নের উওর পাড়িয়া বঙ্গভিটা  গ্রামের মৌমাছির খামারের ১৬০টি বক্সে বিষ প্রয়োগ করে মৌমাছি মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে । খামারের মালিক মো: আব্দুর রশিদ মন্ডল ৪মে  শনিবার রাতে এ ব্যাপারে বালিয়াডাঙ্গী থানায় লিখিত অভিযোগ জমা করেন । লিখিত অভিযোগে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল গ্রামের মৃত ছোবাহান মন্ডলের ছেলে মো: আব্দুর রশিদ মন্ডল (৬২) মৌমাছি খামার করার জন্য ঠাকুরগাঁওয়ে আসেন। তিনি ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের  বঙ্গভিটা নামক স্থানে “আমার আশার আলো মৌ খামার প্রকল্প” নামের একটি মৌমাছির খামার স্থাপন করেন। যা বাংলাদেশ কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এর রেজিষ্ট্রেশন নং-৭০২। তার খামারে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির মৌমাছি রয়েছে। সেখানে মো: ফজলু (৪২) ও মো: ছোবাহান (২৫) নামক ২ জন কর্মচারী দায়িত্বে রয়েছেন। এ অবস্থায় গত ৩ মে শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টায় দায়িত্বরত ২ জন কর্মচারী স্বাভাবিকভাবেই ঘুমিয়ে পরেন। তারা পরদিন ৪ মে শনিবার ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান কে বা কাহারা খামারের ১৬০ টি বক্সে বিষ প্রয়োগ করে সব মৌমাছি মেরে ফেলেছে। এতে খামারের প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। খামারের মালিক মো: আব্দুর রশিদ মন্ডল শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায়  ৪ মে শনিবার অজ্ঞাতনামা আসামী করে বালিয়াডাঙ্গী থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। খামারের মালিক মো: আব্দুর রশিদ মন্ডল বলেন, ঘটনার বেশ কয়েকদিন হলেও আমি অসুস্থ থাকার কারণে ৪ মে শনিবার বালিয়াডাঙ্গী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। অভিযোগটি দায়িত্বরত ডিউটি অফিসারকে জমা দিয়েছি। স্থানীয় কোন মানুষের সাথে আমার কোন ধরনের ঝগড়া-বিবাদ না থাকলেও এ জাতীয় অনাকাঙ্খিত ঘটনায় আমার ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমি এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে বালিয়াডাঙ্গী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ফিরোজ কবির বলেন, এ বিষয়ে  লিখিত অভিযোগ  পাওয়া গেছে , সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।