মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এবং আমাদের দায়-দায়িত্ব

19
রায়হান আহমেদ তপাদার:

বাংলাদেশের সাবেক একজন সেনাপ্রধানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় আবার নতুন অনেক প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞার কারণে তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য হবেন।উল্লেখ্য, তাঁকে নিয়ে অনেক দিন ধরে আলোচনা ও বিতর্ক চলছিল। তিনি ২০২১ সালের জুনে অবসরে গেছেন। এর তিন বছর পর দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা এল। সাবেক সেনাপ্রধানদের মধ্যে তিনিই প্রথম এ-জাতীয় কোনো নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছেন। এর আগে ২০২১ সালে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ও এর কর্মরত ও সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ মানবাধিকার লঙ্ঘনের। তবে সাবেক সেনা প্রধানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, এই কর্মকর্তা উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাঁর কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অবমূল্যায়ন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার ওপর জনগণের আস্থা কমেছে। তাঁর বিরুদ্ধে প্রধান দুটি অভিযোগের একটি হলো তিনি তাঁর ভাইকে অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি এড়াতে সহায়তা করেছেন। তা করতে গিয়ে তিনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ রয়েছে। অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হচ্ছে না যে অভিযোগে বর্ণিত কোনো ঘটনা ঘটেনি। উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যথাক্রমে প্রায় চার ও তিন বছর বিজিবি ও সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন। তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক ভাইকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। অপর দুই ভাইয়ের সাজা মওকুফ করেছিল সরকার।

তবে এটা সত্য, এ ধরনের মুক্তিসংক্রান্ত কার্যক্রম কোনোটিই সেনাপ্রধান বা বিজিবি প্রধানের আওতায় নেই। রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করেন সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতাবলে। আর সরকার তা করতে পারে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসরণে। এগুলোর সাংবিধানিক বা আইনি দিক নিয়ে প্রশ্ন না তুললেও নৈতিক দিক নিয়ে প্রশ্ন ছিল এবং থেকেই যাবে।স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতার প্রয়োগ এর বাইরে হতে পারে না। এ ধরনের সাংবিধানিক ও আইনি বিধান শুধু প্রয়োগ করতে হবে জনস্বার্থে। এখানে সরকারের অবস্থান অস্পষ্ট ও দুর্বল ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। ইচ্ছেমতো, দণ্ডিত কোনো ব্যক্তিকে ক্ষমা বা সাজা মওকুফ করতে এ ধরনের বিধান সংবিধান কিংবা ফৌজদারি কার্যবিধিতে এর প্রণেতারা সংযোজন করেননি। এ ক্ষেত্রে বলা চলে সরকার জেনে শুনেই তাঁকে এ ধরনের পদে নিয়োগ দিয়েছিল। সুতরাং এটা যথার্থ যে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এ ধরনের একটি ব্যবস্থা সরকারকে বিব্রত ও হেয় করেছে। সরকারের এ ধরনের ভূমিকার দায় অংশত গিয়ে পড়ে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তির ওপরও। অথচ তারা আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অতন্দ্রপ্রহরী। সময়-সময় আইনশৃঙ্খলার মোকাবিলায়, জাতীয় দুর্যোগ, এমনকি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় এ প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। এর কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও যোগ্যতা আমরা প্রশংসার সঙ্গে লক্ষ করি। মূলত এদের ওপর ভিত্তি করেই র‍্যাব নামক প্রতিষ্ঠান জনমনে চমক সৃষ্টিকারী অবদান রাখে। জঙ্গিদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য এটি একটি দক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত দায়বদ্ধতার অভাবে প্রশ্নবিদ্ধ কাজে এদের কেউ কেউ জড়িয়ে পড়েছেন। এ ধরনের একটি বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কোনো দ্বিমত নেই। এদের ক্ষিপ্রতা ও চৌকস নজরদারি দেশে এমন বিশেষ বিশেষ অপরাধ উন্মোচনে সাফল্যের ছাপ রেখেছে।

অতি সম্প্রতি সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা, সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ জব্দ করা এবং এমপি আনোয়ারুল আজীমের খুন হওয়া এই তিন ঘটনার মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে কি? অবশ্যই যোগসূত্র আছে। তিনটি ঘটনাই খুব কাছাকাছি সময়ে ঘটেছে। তিনটি ঘটনার সঙ্গে কোনো না কোনো ধরনের অপরাধ যুক্ত। কেউ অপরাধের শিকার, কেউ অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত। দ্বিতীয় যোগসূত্রটি হলো তিনটি ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন ব্যক্তি আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ। জেনারেল আজিজ আহমেদ সেনাবাহিনী ও বিজিবির প্রধান ছিলেন। বেনজীর আহমেদ র‍্যাব ও পুলিশপ্রধান ছিলেন। আর আনোয়ারুল আজীম পরপর তিনবার জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। জাতীয় সংসদের ওয়েব সাইটের তথ্য অনুযায়ী তিনি এখনো সংসদ সদস্য আছেন! আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ক্ষমতার অপব্যবহার ও উল্লেখযোগ্য দুর্নীতির অভিযোগে।আওয়ামী লীগ সরকার অবশ্য তাঁর কৃতকর্মের দায় নেয়নি। বলেছে, এটা ব্যক্তির দায়,সরকারের নয়।আজিজ আহমেদ নিজের দায় অস্বীকার করতে গিয়ে বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা উদ্দেশ্যমূলক এবং সরকারকে হেয় করার জন্য করা করা হয়েছে। তিনি যে ঘটনাকে উদ্দেশ্যমূলক বলেছেন, সেই ঘটনার জন্য কি আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছেন? জানালে সেটা জানার অধিকার জনগণেরও আছে।বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে যেসব দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এসেছে, সেটা দুর্নীতি দমন সংস্থা তদন্ত করেছে এবং তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাঁর ও পরিবারের সদস্যদের সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন।সাম্প্রতিক ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে খুন করার ঘটনাটি।

যদিও এই খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত চারজন ঢাকা ও মুম্বাইয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন। কিন্তু হত্যার মূল হোতা হিসেবে যাঁর নাম এসেছে, সেই আখতারুজ্জামান ওরফে শাহিন যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত হত্যারহস্য খুঁজে বের করেছে, দেশে থাকা অপরাধীদের পাকড়াও করে তাদের জবান বন্দি নিয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের পুলিশ তদন্তকাজে পরস্পরকে সহায়তা করছে। এখানে দুটি সমস্যা হলো খুনিরা আনোয়ারুল আজীমের দেহাবশেষও নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। জানা যায় তারা খুনের আলামত মুছে ফেলতে মুম্বাই থেকে এক কসাইকে নিয়ে এসেছিল। পরে সেই কসাই এমপির লাশ টুকরা টুকরা করেছে, হাড় থেকে মাংস বের করে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দিয়েছে। এ অবস্থায় লাশ খুঁজে পাওয়া কঠিন। তার চেয়েও কঠিন হলো হত্যার মূল অভিযুক্তকে দেশে ফিরিয়ে আনা। দুই দেশের মধ্যে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তির অধীনেই এসব অভিযুক্তকে ফেরত আনা যায়। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এ রকম কোনো চুক্তি নেই। সামাদ আজাদ যখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও শফি শামি পররাষ্ট্রসচিব তখন বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরত আনার বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হলেও গতি পায়নি। এ কারণে রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। আখতারুজ্জামান জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক হলেও যুক্তরাষ্ট্রেরও নাগরিকত্ব নিয়েছেন। তিনি তার মার্কিন পাসপোর্টে ব্যবহার করে কলকাতায় বাসা ভাড়াও করেছিলেন বলে ভারতের পুলিশ বলেছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানানো হয়েছে, আনোয়ারুল আজীমের হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যে যাঁরা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাঁরা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছেন। একেক সময় একেক কথা বলছেন। সে ক্ষেত্রে হত্যা রহস্য উন্মোচন করতে হলে আখতারুজ্জামানকে দেশে ফিরিয়ে আনা জরুরি। প্রশ্ন হলো ক্ষমতাসীন দলের একজন সংসদ সদস্যের খুনিদের বিচার হবে কি না। 

বিচার করতে হলে প্রধান অভিযুক্ত আখতারুজ্জমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। অন্যান্য অভিযুক্তকে তার মুখোমুখি করতে হবে। কিন্তু তাঁকে আদৌ নিয়ে আসা সম্ভব কি? আমরা জানি যে রাশেদ চৌধুরীর ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয়নি। এ ক্ষেত্রে একটি উপায় আছে বলে মনে হয়। আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন ভারতের মাটিতে। ভারতের সঙ্গে তাদের বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে। ভারত চাইলে খুনের বিচার নিশ্চিত করার স্বার্থে তাকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে পারে। সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম খুন হলেন চোরাচালানের অভিযোগ মাথায় নিয়ে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘মাদক মামলার মানি লন্ডারিং-সংক্রান্ত (অর্থ পাচার) বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আবদুস শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। বদির বিরুদ্ধেও যদি আমরা সাক্ষ্যপ্রমাণ পাই, তাহলে ছাড় দেওয়া হবে না। টাঙ্গাইলের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান ওরফে রানার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা আছে। এই হলেন আমাদের জনপ্রতিনিধি,যারা দেশ ও জনগণের ভাগ্যনিয়ন্তা। বলা চলে, সেনাবাহিনীর কোনো দিক দিয়ে বিতর্কিত হওয়া দেশের জন্য কল্যাণকর নয়। অবশ্য উল্লেখ করতে হবে সরকার এ দেশের নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসহ অনেক প্রতিষ্ঠানেরই ধারভার কমিয়ে ফেলেছে। এমনটি ঘটছে পছন্দের নিয়োগ, দলীয়করণ ও সব সংস্থাকে সরকারি দলের সমান্তরাল অবস্থানে নেওয়ার ফলে। মানুষ আস্থা স্থাপন করতে পারে, এ ধরনের প্রতিষ্ঠান এখন দেশে খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।এসব বিষয়ে বহু বক্তব্য এলেও সরকার নীরব থাকা বা অবজ্ঞা করার নীতি নিয়েছে। প্রসঙ্গত, পুলিশের সাবেক আইজিপির নামে-বেনামে বিশাল পরিমাণ সম্পদের বিষয়ে একটি সংবাদপত্রের বিস্তারিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন এসেছিল গত সপ্তাহে। তিনি এসব বিষয় অসত্য বলে একটি বক্তব্য দিয়েছেন। 

এরপর দুদকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ মে ২০২৪ ঢাকার একটি আদালত সাবেক আইজিপি, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের নামে স্থাবর সম্পদ জব্দের এবং তাঁদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন। আদালতের আদেশের পর দুদক সাবেক আইজিপি ও তাঁর পরিবারের সম্পদ জব্দের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ বিষয়টির আইনগত দায়িত্ব দুদকের। তবে এ ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত তারা কতটুকু অগ্রসর হতে পারবে, এ বিষয়ে অনেকেই গুরুতর সংশয়বাদী। সংশয়বাদীদের দোষও দেওয়া যাবে না।কেননা,সাধারণত এ দেশে প্রকৃত ক্ষমতাধরেরা সব ধরনের অনাচার করেও আইনের কাছে অধরা থেকে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য, এ ঘটনা জনগণের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তেমনি গুরুতর প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে সংস্থাটির ভাবমূর্তি। যত বিতর্কই থাকুক, পৃথিবীর সব দেশের মতো আমাদেরও পুলিশ দরকার। উল্লেখ করা অসংগত নয় যে সাবেক আইজিপির বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ এর চিড় ধরা ভাবমূর্তি আরও বিপন্ন করেছে। এসব ব্যাপার ছাড়াও সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিংবা কোনো না কোনো ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা একটি বিচারহীনতার সংস্কৃতির মাঝে চলেছেন। একজন সাবেক মন্ত্রীর বিদেশে প্রভূত সম্পদ থাকার তথ্য গত নির্বাচনকালে টিআইবি সূত্রে পাওয়া যায়। এ সম্পদ সম্পর্কে তিনি তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় হলফনামায় গোপন করেছেন। সংশ্লিষ্ট সাবেক মন্ত্রী বললেন, এগুলো তাঁর পরিবারের এবং বিদেশে অর্জিত সম্পদ। তাঁর মতে, হলফনামায় এগুলো দেওয়ার আবশ্যকতা নেই। নির্বাচন কমিশনও বিষয়টি উপেক্ষা করলেন।পাশাপাশি সরকারও নীরবতার নীতি অবলম্বন করলেন। এতে আইনকানুনের ওপর মানুষের আস্থা কেন থাকবে? এভাবে শুধু দেশে নয়, বিদেশেও নিজদের ভাবমূর্তি শোচনীয়ভাবে নিম্নমুখী করা হচ্ছে। যা মোটেও দেশের জন্য শোভনীয় লক্ষণ নয়।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক 
raihan567@yahoo.com