কুরবানীর পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করুন-মুফতী ফয়জুল্লাহ

12

ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে কুরবানীর পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ। আজ গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, কুরবানীর পশুর চামড়ার বিক্রয়লব্ধ অর্থের মালিক এতিম-গরীব ও মিসকিনসহ সমাজের প্রান্তিক দরিদ্রজনগোষ্ঠী। প্রতি বছর চামড়ার দরপতনে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হন তারা। এতে বিঘিœত হয় দারিদ্র্য বিমোচন প্রক্রিয়া।
বিবৃতিতে মুফতী ফয়জুল্লাহ বলেন, কুরবানীর পশুর চামড়ার দর নিয়ে বিগত বছরগুলোর ন্যায় আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেট এবং তাদের এজেন্ট মৌসুমি ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হয়ে উঠছে। এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী চামড়ার দাম কমিয়ে গরীব ও এতিমদের হক নষ্ট করছে এবং দেশের চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে। আসলে কুরবানী মৌসুমে কাঁচা চামড়া সংগ্রহকারীদের দর-কষাকষি করার তেমন সুযোগ থাকে না। তারা যেটুকু মূল্য পান, বাধ্য হয়ে বিক্রি করে দেন। এই জিম্মি দশা থেকে কওমী মাদ্রাসা, এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিং ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানকে মুক্ত করতে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।
বিবৃতিতে মুফতী ফয়জুল্লাহ আরো বলেন, এ বছর যদি ঈদুল আযহার আগে চামড়ার ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা না যায়, তবে দেশের মাদ্রাসাগুলো এবং ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ীগণ চামড়া সংগ্রহে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। ফলে দেশের বিপুল পরিমাণ সম্পদ নষ্ট হবে এবং বৈদেশিক মুদ্রাপ্রাপ্তির অন্যতম এই শিল্প ধ্বংস হবে।
তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কুরবানির পশুর চামড়া ন্যায্যমূল্যে নেওয়ার মানুষ পাওয়া যায় না। গরুর চামড়া দুইশ থেকে সাত আটশ টাকার উপরে উঠে না। ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক ধার্য্যকৃত মূল্যেরও তোয়াক্কা করে না। নিজেদের খেয়ালখুশি মত বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। অথচ ২০১২-১৩ সালেও গরুর চামড়া তিন থেকে চার হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর ছাগলের চামড়া তিন থেকে চারশ টাকায়। অবিলম্বে কুরবানীর পশুর চামড়া নিয়ে অচলাবস্থার অবসান করা জরুরি। তা নাহলে সিন্ডিকেট চক্র এই শিল্পকে সমূলে ধ্বংস করে দেবে।