ঝিনাইদহে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার অভিযোগ

197


ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোং লিঃ এর বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ মিটার স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে। শহরের শের-এ বাংলা সড়কের ঝিনাইদহ মৌজার ১৭১৯ নং দাগের জমিতে দেওয়ানী মামলা ও নিষেধাজ্ঞা আছে। যাহার নং-৭৮/১৭,মিস কেস-২৮/১৮, থাকা সত্ত্বেও বিগত ১৬ অক্টবার ২০১৯ সালে ্ওই জমির বসত বাড়িতে অবৈধভাবে বিদ্যুৎতের মিটার স্থাপন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ২৭ শে আগষ্ট ২০১৮ইং সালে ঝিনাইদহ মৌজার ১৭১৯ দাগের জমিতে জেলা জজ, ঝিনাইদহ নালিশী জমিতে মামলার উভয়পক্ষকে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থিতিবস্থা বজার রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু ঝিনাইদহ ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোং লিঃ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে মোঃ টিপু সুলতানের নামে বিদ্যুৎতের মিটার স্থাপন দিয়েছে। এছাড়াও বিদ্যুৎ অফিস বরাবর বার বার মিটার স্থাপন বন্ধ, মিটার অপসারণ করাসহ অবৈধ বিদ্যুৎ মিটারের প্রসঙ্গে দরখন্ত দেওয়া হলেও কোন কর্ণপাত করেনি বিদ্যুৎ অফিস।
এবিষয়ে ওই জমির মামলার বাদি মোঃ সাইফুর রহমান জানান, শের-এ বাংলা সড়কের ১৭১৯ দাগের জমিতে জেলা জজ আদালত ঝিনাইদহে মামলা চলমান রয়েছে। এবং বিগত আগষ্ট ২০১৮ইং সালে ওই জমির উপর উভয় পক্ষকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থিতিবস্থার নির্দেশ দেন। অথচ ঝিনাইদহ ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোং লিঃ টিপু সুলতানের নামে বিদ্যুৎতের মিটার স্থাপন করে। তখন আমি বিদ্যুৎ অফিস বরাবর ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ মিটার স্থাপন, এরপর ১৯ শে সেপ্টেম্ববর ২০১৯ ইং তারিখে মিটার স্থাপন না করা এবং ২৭শে জানুয়ারী ২০২০ইং তারিখে মিটার অপসারণ করার আবেদন করি। কিন্তু কোন ভাবেই তারা বিদ্যুৎ মিটার অপসারণ করেনি। এরপর ৫ই মার্চ ২০২০ইং তারিখে জজ কোট ঝিনাইদহের এ্যাডভোকেট পারভীন আকতার ছালমা বিদ্যুৎ অফিস বরাবর একটি নিগ্যাল নোটিশ পাঠান কিন্তু নিগ্যাল নোটিশকেও কোন আমলে নেই নাই। তারা একেরপর এক মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অনিয়ম ও আদালতকে অবমাননা করে চলেছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোং লিঃ এর নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র সরকার কে, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কিভাবে তারা ওই জমিতে বিদ্যুৎ মিটার স্থাপন করলেন এমন জবাবে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমার কোন মতামত নাই, আপনি প্রকৌশলী মুস্তাফিজুরের সাথে কথা বলেন।
পরে প্রকৌশলী মোঃ মুস্তাফিজুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমাদের লিগ্যাল এ্যাডভাইজারের আইনি মতামতের মাধ্যমে সেখানে বিদ্যুৎ মিটার স্থাপন করা হয়েছে। আপনি যদি চান তহালে লিগ্যাল এ্যাডভাইজারের আইনি মতামতের এক কপি ফটোকপি দেওয়া যেতে পারে। পরে ১০ মিনিট অপেক্ষা করার পরও লিগ্যাল এ্যাডভাইজারের আইনি মতামতের কোন কাগজপত্র দিতে পারে নাই বিদ্যুৎ অফিস।