শার্শার খেয়াঘাটের ভাঙা সেতু থেকে পড়ে আহত- ১

138

আশিকুর রহমান, শার্শা:- যশোরের শার্শা উপজেলার অর্ন্তগত নাভারণ-গোড়পাড়া সড়কের গাতিপাড়া খেয়াঘাট মোড়ের সেতুটি প্রায় ১০ মাস আগে ভেঙে পড়লেও এখন পর্যন্ত সংস্কার হয় নি। ফলে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার কবলে পড়েছেন পথচারীরা। আজ শুক্রবার দুপুর বারোটার দিকে এক মোটরসাইকেল আরোহী ভাঙা সেতুটির খাদে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে তাকে নিকটবর্তী ডাক্তারের কাছে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। দুর্ঘটনায় ওই ব্যক্তির এক হাত ভেঙে গেছে বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী জানান, এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। কিছু দিন আগেও একটি ভ্যানগাড়ি সেতু থেকে বেতনা নদীতে পড়ে যায়। রেজওয়ান কবির বলেন, সেতুটি নিয়ে আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। বারবার কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা হলেও কাজের অগ্রগতি একদম শুন্য। মশিউর রহমান বলেন, আমরা সবসময় আতঙ্কে থাকি। যেকোন সময় মৃত্যুকূপে গ্রাস হয়ে যেতে পারে যে কেউই৷ গবাদিপশু থেকে শুরু করে শিশুরাও একদম নিরাপদ নয়। উল্লেখ্য, শার্শা ও যশোর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিডিই) থেকে ঢাকা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম ফর সাপোটিং রুরাল ব্রীজেস শীর্ষক কর্মসূচী ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সড়ক ও সেতু রক্ষণাবেক্ষন) এর প্রকল্প পরিচালক বরাবর পত্র পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে তার কোন সুনির্দিষ্ট রূপরেখা দিতে পারেনি উপজেলা এলজিডিই। শুধুমাত্র স্থানীয় এলজিইডি কর্মকর্তারা নিরাপদে চলাচলের জন্য নির্দেশনামুলক নেম ফলক লাগিয়ে দিয়েছে। তবে সেটাও এখন হুমড়ি খেয়ে পড়ে আছে। এলাকাবাসী জানান, কোন উপায় না পেয়ে তারা সেতুর ওপর কাঠ ও বাঁশ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোনরকম পারাপার হচ্ছেন। তারা আরও জানান, কয়েক মাস ধরে সেতুটি ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এটি বৃহত্তর নাভারণ বাজারকে কেন্দ্র করে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকায় অত্যন্ত জনবহুল ও ব্যস্ততম রাস্তা। সবমিলিয়ে বিশটিরও বেশি গ্রামের মানুষসহ অনান্য পথযাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এলাকাবাসী সেতুটি দ্রুত সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলছেন।