সরফভাটায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ইসমাঈল

287

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি : ঘনিয়ে আসছে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তোড়জোড়। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি প্রার্থীতার মনোনয়ন পেতে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরাও। উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নেও বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন ধানের শীষ প্রতীকে সম্ভাব্য বিএনপি প্রার্থী মো. ইসমাঈল হোসেন। তার বাড়ি উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের মধ্যম সরফভাটা এলাকায়। দলের হাইকমান্ড মনোনয়ন দিলে চেয়ারম্যান পদে ভোট যুদ্ধের ময়দানে থাকবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। একান্ত স্বাক্ষাতকারে তিনি বলেন, “২৬ বছর বয়সে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার নির্বাচিত হয়েছিলাম। এসময় এলাকার উন্নয়নে সর্বোপরী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। এখন ৩৭ বছর বয়সে সরফভাটা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। দলের নীতিনির্ধারকরা তাকে মনোনয়ন দিলে সবাইকে সাথে নিয়ে ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় নিশ্চিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি। ইসমাঈল জানান, “তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম উত্তরজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহযোগী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে আছেন। ২০০২ সাল থেকে টানা ১০ বছর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছিলেন। পরবর্তীতে ২০১৩-২০১৭ পর্যন্ত উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক হয়ে দলের প্রতিটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। দলের কর্মসূচি পালন করতে গিয়েই ২০০৯, ২০১১, ২০১৭ সালে শাসক দলের ষড়যন্ত্রের নক্সা হিসেবে মিথ্যা, সাজানো বানোয়াট মামলায় আসামি হয়েছি। জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছি, মগর সরকার বিরোধী আন্দোলন থেমে থাকেনি। এভাবে কিশোর বয়স থেকেই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে জড়িয়ে রাজনীতির ময়দানে অবস্থান নিয়েই নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এখনো বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। আলাপকালে সেচ্ছাসেবক দলের এই নেতা আরও বলেন, “দেশনেত্রী দলের চেয়ারপার্সন, আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে এখনও পর্যন্ত রাজপথে থেকে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। যতোই বাধা আসুক রাজপথেই থাকবেন ব’লে জানান জেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের নির্যাতিত নেতা মোহাম্মদ ইসমাইল। এলাকার নানা সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এলাকায় মাদকাসক্ত, মাদকদ্রব্যের অঁবাধে বেচাকেনা হচ্ছে। এলাকার বিভিন্ন স্পটগুলোতে এখন হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে মাদক। চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে জয়ী হলে সরফভাটাকে মাদকমুক্ত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবো। এছাড়া শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবার বিপ্লব ঘটিয়ে জনগণের দুয়ারে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করে যাবো। এলাকার যুব সমাজকে আলোর পথে ফিরিয়ে এনে এলাকায় শিক্ষা ও ক্রীড়ামুখি করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবো। এলাকাবাসী ও প্রশাসনের সহয়তায় জনপদে, অলিতে-গলিতে উন্নয়নে পরিবর্তন ঘটাবেন বলে তিনি জানান। ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ডা. সন্তোষ জানান, ইউনিয়ন পর্যায়ে জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে দলের জনপ্রিয় নেতা মোহাম্মদ ইসমাইলকে প্রয়োজন আছে বলে জানান তিনি। দলের হাইকমান্ডের নজর স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলার নেতা মোহাম্মদ ইসমাইলের প্রতি রাখতে আহবান জানান তিনি। কথা হয় সরফভাটা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক দুই সভাপতি আবদুল মান্নান ও মো. আইয়ুব’র সাথে। তারা জানিয়েছেন, দলের দুঃসময়ের পরীক্ষিত নেতা মো. ইসমাঈল। জেলজুলুম মামালা-হামলার শিকার হয়েও তিনি দলীয় কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছেন। দল তাকে মনোনয়ন দিলে তাকে বিজয়ী করতে সকলে একযোগে কাজ করবেন বলে তারা জানান।