বাংলাদেশের অনুর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ক্রিকেট দল সিরিজ জয়ী করে পাকিস্তান সফর শেষে দেশে ফিরেছে

166

মোঃ মজিবর রহমান শেখ,, বাংলাদেশের অনুর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ক্রিকেট দলের ৩১ অক্টোবর পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বাংলাদেশ এবং সিরিজ জয়ী করে ২০ নভেম্বর দেশে ফিরে টাইগার যুবারা। বাংলাদেশের অনুর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ক্রিকেট দলে সুযোগ পেয়েছেন ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কৃতি সন্তান সোহাগ আলী। গত ৩১ অক্টোবর ২০ দিনের পাকিস্তান সফরে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যান টাইগার যুবরা। জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ায় আনন্দের ভাসছেন সোহাগের পরিবার, স্বজন, ক্রীড়াঙ্গন সহ পুরো ঠাকুরগাঁও জেলার ক্রিকেট প্রেমী মানুষরা। সকলের চাওয়া ভাল পারফরম্যান্সের মাধ্যমে দেশের নাম বিশ্বে উজ্জ্বল করবে সোহাগ। টাইগারদের অনুর্ধ্ব-১৯ দলে সুযোগ পাওয়া সোহাগ আলী ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ধারিয়া বেলসাড়া গ্রামের ওবাইদুর রহমানের ছেলে। তাঁর বাবা একজন সাবেক ইউপি সদস্য। ক্রিকেটার সোহাগ আলী কুশলডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। বর্তমানে বালিয়াডাঙ্গী বিএম টেকনিক্যাল কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র। ১০ টি ম্যাচে ভাল পারফরম্যান্স করায় পাকিস্তান সফরের জন্য সোহাগ আলীকে নির্বাচন করা হয়। তিনি মিডেল অর্ডার ব্যাটার হিসেবে খেলবেন। এর আগে বাংলাদেশের অনুর্ধ্ব -১৭ দলে খেলেছেন তিনি। পাকিস্তানে একটি টেস্ট ম্যাচ ও পাঁচটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দল। এতে তারা সিরিজ জিতে দেশের সুনাম বয়ে আনেন। জাতীয় দলে চান্স পাওয়া সোহাগ আলীর বাবা ওবাইদুর রহমান জানান, আমার ছেলে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে খবর শুনে আমি যে কতটা খুশি তা ভাষায় বুঝাতে পারব না। সকলের দোয়ায় আমার ছেলের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমার ছেলের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। সে যেন দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারে। ছোটবেলা থেকেই সোহাগ ক্রিকেট খেলার প্রতি অনেক আগ্রহী ছিল। আমরাও তাকে উৎসাহ দিয়েছি। কখনই তাকে খেলতে বাধা দেইনি। অনুর্ধ্ব-১৯ চান্স পাওয়া সোহাগ আলী জানান, ‘গত ৭ বছর ধরে সহপাঠী, মা-বাবার উৎসাহ ও নিজের ইচ্ছা পূরণের জন্য ক্রিকেট খেলা শুরু করি। আমার বাবা আমাকে এ নিয়ে অনেক সার্পোট করছে যা কখনও ভুলব না। বাবা না হলে হয়ত কোনদিন এ জায়গায় আসতে পারতাম না । সেই সাথে আমার শিক্ষক বালিয়াডাঙ্গী বিএম টেকনিক্যাল কলেজের পিন্সিপাল সাদেকুল ইসলাম আমাকে সর্বদাই পরামর্শ ও পথ দেখিয়েছেন। পরবর্তীতে জেলা কোর্চ রোকনুজ্জামান রাহাত স্যার আমাকে সর্বোচ্চ চেষ্টার ফলে অনুর্ধ্ব-১৯ এ চান্স পেয়েছি। আশা করি সকলের দোয়ায় ভাল খেলা উপহার দিতে পারব এবং পরবর্তীতে জাতীয় দলের হয়ে দেশের সুনাম অর্জনে ভূমিকা রাখব।’ বালিয়াডাঙ্গী বিএম টেকনিক্যাল কলেজের পিন্সিপাল সাদেকুল ইসলাম জানান, সোহাগের ক্রিকেটের প্রতি অনেক আগ্রহ ছিল। তাই তাঁর বাবা আমার কাছে আসেন পরামর্শ চাইতে। আমি যেহেতু ঠাকুরগাঁও জেলা ক্রীড়া পরিষদের সদস্য তাই আমি তাঁর দায়িত্ব নিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা কোচ রোকনুজ্জামান রাহাতের হাতে তুলে দিই। এর মধ্যে আমি সবসমই সোহাগের পাশে ছিলাম। মধ্যখানে একটু হাল ছেড়ে দিয়েছিল পরবর্তীতে তাঁকে বুঝিয়ে আবার ফিরিয়ে আনি। সে আজ অনেক ভাল জায়গায় যেতে পারছে। এটা একটা আনন্দের বিষয়। আশা করি সে ভাল কিছু করবে। জেলা ক্রীড়া অধিদপ্তরের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান বাবু জানান, ঠাকুরগাঁও থেকে মোট তিন জাতীয় দলে চান্স পেয়ে পাকিস্তানে খেলতে গেছেিলেন এতে আমার আনন্দিত। আমার চাই তারা ভালো খেলে দেশের সুনাম বয়ে এনেছে। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নির্বাহী অফিসার বিপুল কুমার জানান, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা থেকে জাতীয় দলের অনুর্ধ্ব-১৯ এ সোহাগ চান্স পেয়েছে এটা আনন্দের বিষয়। আশা করি সে ভাল পারফরমেন্সের মাধ্যমে দেশের নাম উজ্জল করবে। তাঁর সার্বিক সহযোগীতায় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রশাসন পাশে থাকবে। ৩১ অক্টোবর পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বাংলাদেশ এবং সিরিজ জয়ী করে ২০ নভেম্বর দেশে ফিরে টাইগার যুবারা।